মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
শুধু তাই নয়, চা শিল্পের এই ভয়াবহ পরিস্থিতি বুঝে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের চা শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি দল শ্রমদপ্তরের বিশেষ সচিব বরুণ রায়ের সঙ্গে দেখা করেছে। এছাড়াও তৃণমূলের চা শ্রমিক সংগঠন শিল্পের এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির কথা সবিস্তারে জানিয়ে শুক্রবার শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটকের কাছে চিঠি পাঠায়।
উত্তরের চা শিল্পের এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় টি বোর্ডের সমালোচনায় মুখর হয়েছে তৃণমূল চা শ্রমিক সংগঠনের নেতারা সহ রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক। আইটিপিএ’র ডুয়ার্স শাখার সচিব রামঅবতার শর্মা বলেন, চা শিল্পের ৫০ বছরের ইতিহাসে এমন ভয়াবহ সঙ্কট এর আগে কখনও আসেনি। বৃষ্টির অভাবে গাছ মরে যাচ্ছে। সরকারিভাবে আর্থিক প্যাকেজ পাওয়া না গেলে অনেক বাগানকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। আমরা চাই, সরকার আর্থিক প্যাকেজ দিক।
বাগান মালিকরা জানান, বৃষ্টির অভাবে জলস্তর নীচে নেমে গিয়েছে। পাম্প করেও নীচ থেকে জল উঠছে না। এই অবস্থায় সরকার আগামী কয়েক মাস বিদ্যুৎ বিলে ছাড় দিলে অনেকটা সুরাহা হয়। সারে ভর্তুকি দিলেও আর্থিক ঘাটতি কিছুটা লাঘব হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে শ্রমিকরা সপ্তাহে মাত্র তিনদিন কাজ পাচ্ছেন। বাকি তিনদিন নো ওয়ার্ক নো পে থাকছে। এমন অবস্থায় শ্রমিকরাও চা বাগান মালিকদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
তৃণমূল চা বাগান ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান নকুল সোনার বলেন, চা শিল্পে এই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা শ্রমদপ্তরের বিশেষ সচিবের সঙ্গে দেখা করেছি। শুক্রবার সংগঠনের তরফে শ্রমমন্ত্রীর কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আমরা চাইছি জুন মাসে সরকার চা মালিক সংগঠন, ট্রেড ইউনিয়ন ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নিয়ে একটা বৈঠক করুক। বৈঠকে দেখা হোক কীভাবে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা যায়।
তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশচিক বরাইক বলেন, কেন্দ্র সরকার কীটনাশকের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। বৃষ্টি না হওয়ায় চা গাছে পোকামাকড়ের উপদ্রব শুরু হয়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় বহু বাগানে চা গাছ মরে যাচ্ছে। অথচ সব জেনেও কেন্দ্র চুপ করে আছে।