গৃহাদি নির্মাণে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণপ্রাপ্তির যোগ আছে। কাজকর্মের স্বাভাবিক গতি বজায় থাকবে। বাতের বৃদ্ধি। ... বিশদ
১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফায় আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে ভোট হয়েছিল। দল টিকিট না দেওয়ায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বারলা বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। দলীয় প্রার্থীর সম্পত্তি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা।
টিকিট না পাওয়ায় বারলা ভোটের ময়দানে শুরু থেকেই কার্যত ‘নিষ্ক্রিয়’ ছিলেন। তাঁর নিয়ন্ত্রণে থাকা বিজেপির চা শ্রমিক সংগঠন বিটিডব্লুইউও বসে যায়। গুরুং আগাগোড়াই বারলার ঘনিষ্ঠ। গত লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ারে বারলার জয়ে গুরুং তথা গোর্খা ভোটব্যাঙ্কের বিরাট ভূমিকা ছিল। ভোটের পর সেই গুরুং জয়গাঁয় এসে কেন এমন মন্তব্য করলেন, রাজনৈতিক মহলে তা নিয়ে তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা যুব সভাপতি বিশাল গুরুং বলেন, বিমল ঠিকই বলেছেন। ডুয়ার্সে ভূমিপুত্র গোর্খা ও গোর্খা কমিটিগুলির উন্নয়নে বিজেপির এমপি, এমএলএরা কিছুই করেনি। ডুয়ার্সের গোর্খাদের এই বোধোদয় হওয়ায় তাঁরা এবার তৃণমূলমুখী হয়েছেন। ৪ জুন ভোটের ফল বেরলেই বিজেপি সেটা ভালোমতো টের পাবে। তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মার বক্তব্য, বিজেপি গোর্খাদের আবেগ নিয়ে ছিনমিনি খেলেছে। এতদিন বিজেপির পাশে থেকে ডুয়ার্সের গোর্খারা নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই করেছেন। জমির পাট্টা ও পাট্টার জমিতে ঘর তৈরিতে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা পেয়ে চা বাগানে থাকা গোর্খা শ্রমিকরা বুঝতে পেরেছেন রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে আছে। ফলে এটা নিশ্চিত ডুয়ার্সের গোর্খাদের ভোট এবার আমাদের দলই পেয়েছে। এটা বুঝতে পেরেই বিমল গুরুং ভোটের পরে এই মন্তব্য করতে বাধ্য হয়েছেন। যদিও বিজেপি প্রার্থী মনোজ টিগ্গা বলেন, গুরুং কেন ওরকম কথা বলছেন সেটা উনিই বলতে পারবেন। তবে গোর্খারা বরাবরই বিজেপির দিকে। তাই আবারও বলব, গতবারের থেকেও এবার বেশি ভোটে জিতব। সংগঠনের সুপ্রিমো বিমল গুরুংয়ের ওই মন্তব্য নিয়ে ডুয়ার্সে তাঁর সমর্থকরা অবশ্য মুখে কুলুপ এঁটেছেন। বিমল ঘনিষ্ঠ বীরপাড়ার কিসমত গুরুং বলেন, সংগঠনের সুপ্রিমো সম্প্রতি জয়গাঁ ও বীরপাড়ায় এসে আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। কিন্তু বিমলজি কেন আচমকা এমন মন্তব্য করেছেন সেটা তিনিই জানেন।