প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
সাতমাস আগে সিকিমে বিপর্যয়ে গজলডোবায় তিস্তা ব্যারেজের গাইড বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সংশ্লিষ্ট বাঁধের পাশেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের পর্যটন কেন্দ্র ভোরের আলো, সেচদপ্তরের হাওয়ামহল, ঝিল, সরস্বতীপুর চা বাগান সহ কয়েকটি গ্রাম রয়েছে। সেগুলি রক্ষা করতেই রিং বাঁধ তৈরি ও গাইড বাঁধ মেরামত করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় প্রকল্পের কাজে গতি হারিয়েছে।
সেচদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সমতলে আকাশ পরিষ্কার। দিনভর রোদ। কিন্তু পাহাড়ে মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। এরজেরে প্রতিদিন সকালে তিস্তা নদীতে জলস্তর বেড়ে যাচ্ছে। এদিন গজলডোবায় তিস্তার জলস্তরের উচ্চতা ছিল ১১৫ মিটার। সঙ্গে তীব্র স্রোত। নদীতে রিং বাঁধের জন্য বালির বস্তা ফেলেও লাভ হচ্ছে না। নিমেষে তা ভেসে যাচ্ছে। ফলে সকালের দিকে প্রকল্পের কাজ গতি হারাচ্ছে। তবে ব্যারেজের গেট খোলা থাকায় নদীর জল বেরিয়ে যাচ্ছে। তিস্তা পুরোপুরি না শুকোলেও দুপুরের পর স্রোতের দাপট কমছে। তখন প্রকল্পের কাজে জোর দেওয়া হচ্ছে।
নির্মাণ কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার সংস্থার সচিব শুভ্রজিৎ ঘোষ অবশ্য বলেন, সকালের দিকে রিং বাঁধ তৈরির কাজে গতি কিছুটা কম থাকলেও তা বন্ধ হয়নি। ঝুঁকি নিয়ে শ্রমিকরা নাইলনের জালে বালির বস্তা দিয়ে নদীর দাপট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছেন। দুপুরের পর প্রকল্পের কাজে প্রায় ২৫০জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়েছে। সন্ধ্যার পর তিনটি জেনারেটরের মাধ্যমে প্রকল্পস্থলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। রাতভর বাঁধ নির্মাণের কাজ চালানোর জন্যই এই ব্যবস্থা।