কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
গত বছরের ডিসেম্বর মাসে ঝাড়গ্রাম থেকে কোচবিহারের রসিকবিলে সোহেল, সুলতান ও শাহাজাদ নামে তিনটি পুরুষ চিতাবাঘকে নিয়ে আসা হয়েছিল। রীতিমতো গ্রিন করিডর করে তাদের এখানে নিয়ে আসা হয়েছিল। তারপর থেকে রসিকবিলে রয়েছে তারা। গরিমা ও রিমঝিম আগে থেকেই এখানে ছিল। এবার তারা মা হল। ফলে রসিকবিলে মোট চিতাবাঘের সংখ্যা দাঁড়াল ১২।
উল্লেখ্য, এর আগে রসিকবিলে থাকা ঘড়িয়ালের ডিম থেকেও বাচ্চা ফুটেছিল। এখান থেকে ৩৭টি বাচ্চাকে নিয়ে গিয়ে মুর্শিদাবাদের জলঙ্গী নদীতে ছাড়া হয়েছিল। এখানে এখন ১১টি বড় ঘড়িয়াল রয়েছে। এবার চিতাবাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে রসিকবিলে পর্যটকের সংখ্যা আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে। পুজোর আগেই এই চিতাবাঘগুলিকে পর্যটকদের সামনে নিয়ে আসা সম্ভব হবে বলে মনে করছে বনদপ্তর।
কোচবিহারের এডিএফও বিজনকুমার নাথ বলেন, রসিকবিলে থাকা চিতাবাঘ গরিমা তিনটি ও রিমঝিম চারটি শাবকের জন্ম দিয়েছে। এটা রসিকবিল মিনি জুয়ের জন্য খুবই ভালো খবর। আমরা সকলেই খুশি। শাবকগুলি সুস্থ রয়েছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী দুর্গাপুজোর আগে এদের পর্যটকদের সামনে আনা সম্ভব হবে। ১২টি চিতাবাঘকে পর্যটকদের সামনে আনা হলে পর্যটকরাও খুশি হবেন বলে আমরা আশা করছি।
বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, তুফানগঞ্জ-১ ব্লক অ্যানিমেল ভেটেনারি অফিসার নিয়মিত ওই শাবকগুলির উপরে নজর রাখছেন। সেই সঙ্গে পুন্ডিবাড়ি থেকেও পশু চিকিৎসক আসছেন। গত শুক্রবার ওয়েস্টবেঙ্গল জু অথরিটির উপদেষ্টা আশিস সামন্ত রসিকবিলে এসে পরিদর্শন করে গিয়েছেন। পুরো বিষয়টি দেখে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলেও বনদপ্তরের দাবি। বর্তমানে অ্যানিমেল অ্যাটেনডেন্ট, অ্যানিমেল কিপার সহ বনদপ্তরের অন্যান্য কর্মীরা ওই শাবক ও অন্যান্য চিতাবাঘগুলির দিকে বিশেষ নজর রাখছেন।