কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, চারটি লোকসভা এলাকা থেকে ২৫ কোটি ৪৭ লক্ষ নগদ, ৭৭ কোটি ৪০ লক্ষ টাকার মদ, ৩১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার মাদক, ৫২ কোটি টাকার দামি ধাতু (সোনা, রূপা ইত্যাদি), ৬৯ কোটি ৭২ লক্ষ টাকার উপহার সামগ্রী এবং ৬৪ কোটি ৩৬ লক্ষ টাকার অন্যান্য সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করা হয়। ওইসব সামগ্রী বহনকারীরা উৎস্য সম্পর্কে নির্দিষ্ট এবং বিশ্বাসযোগ্য তথ্য কমিশনের লোকজনকে জানাতে পারেনি। ফলে সেসব কমিশন নিজেদের হেফাজতে নিয়ে নেয়।
দক্ষিণ মালদহ লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত তিনটি বিধানসভাকে স্পর্শকাতর হিসেবে নির্বাচন কমিশন এবার চিহ্নিত করে। দক্ষিণ মালদহের ইংলিশবাজার, মোথাবাড়ি ও সুজাপুরকে কমিশনের তরফ থেকে ব্যয় সংক্রান্ত স্পর্শকাতর কেন্দ্র বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ভোটে টাকা খরচের বিষয়ে ওই তিন বিধানসভা এলাকায় ‘বেনিয়ম’ রুখতে কমিশন কড়া পদক্ষেপ করে। লোকসভা কেন্দ্র পিছু সাধারণত একজন ব্যয় সংক্রান্ত পর্যবেক্ষক থাকেন। তবে ওই তিন বিধানসভার জন্য আলাদা করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়। বিধানসভা পিছু দু’জন করে সহকারী ব্যয় সংক্রান্ত পর্যবেক্ষক এলাকায় নজরদারি চালাতে শুরু করেন। তারফলে প্রশাসনিক তৎপরতা বৃদ্ধি পায়।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মার্চ মাস থেকেই কমিশনের লোকজন মালদহে টাকা সহ অন্যান্য বেআইনি সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু করে। মার্চের শেষ সপ্তাহে কমিশনের ফ্লাইং স্কোয়াড টিম ২৭ লক্ষ টাকা আটক করে। পরে তা আয়কর দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ১২ এপ্রিল গাজোলের ময়না নাকা চেক পয়েন্টে ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। ১৪ এপ্রিল ইংলিশবাজার শহরের সেতু মোড়ে নাকা চেকিং চলাকালীন ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত হয়। ওইদিন শহর সংলগ্ন সুস্থানি মোড়ে ১১ লক্ষ টাকা আটক করে আয়কর দপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়। ১৬ এপ্রিল পুরাতন মালদহে আটক হয় ৫৭ হাজার টাকা। ১৭ এপ্রিল আইহো নাকা চেক পয়েন্টে ২ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়।
২১ এপ্রিল বৈষ্ণবনগরের ১৮ মাইল এলাকায় নাকা চেকিংয়ে ১৮ লক্ষ ২১ হাজার টাকা আটক করা হয়। এছাড়াও ইংলিশবাজার শহর সহ অন্যান্য এলাকা থেকে দফায় দফায় আরও কিছু টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ফাইল চিত্র।