অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
এবিষয়ে বালুরঘাট থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা বলেন, দিনের বেলায় নদীতে বালি চুরি হচ্ছিল। পুলিস অভিযান চালিয়ে বালির নৌকা সহ দু’জনকে আটক করেছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বালুরঘাটের বিডিও সম্বল ঝা বলেন, বালি তোলার বিষয়টি নজরে আসতেই আমরা অভিযান চালিয়ে দু’জনকে ধরেছি। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে।
পুলিস জানিয়েছে, বালুরঘাট শহরের প্রধান নদী আত্রেয়ী। বছরের অন্যান্য দিনে এই সময়ে নদীতে সরাসরি ট্রাক্টর নামিয়ে বালি তোলা হয়। কিন্তু এবছর ড্যামের কারণে নদীতে ভালো পরিমাণ জল রয়েছে। তাই নৌকা নামিয়ে বালি তোলার কাজ চলছে। দিনের বেলাতেই এভাবে বালি চুরি দেখে হতবাক স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রশাসনের নজরদারির পরেও কীভাবে বালি তোলা হচ্ছে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে। এদিন পুলিসের অভিযানে দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাদের পিছনে বড় মাথা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিস ওই মাথার খোঁজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই ভূমি ও ভূমি সংস্কার দপ্তর থেকে থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে। পুলিস তদন্ত শুরু করেছে।
বালুরঘাট শহরের লাইফ লাইন আত্রেয়ী নদী। এই নদীবক্ষ থেকে প্রায়ই বালি তোলা হয়। বালুরঘাটের খিদিরপুর থেকে শুরু করে রঘুনাথপুর, পাগলিগঞ্জ ও পতিরামের দিক থেকে অবাদে বালি তোলা হয়। মাঝেমধ্যেই ভূমি সংস্কার দপ্তর থেকে অভিযান চালানো হয়। সেই অভিযানেও বালি মাফিয়াদের হুঁশ ফেরে না। সুযোগ পেলেই যত্রতত্র নদীতে ট্রাক্টর ও জেসিবি নামিয়ে বালি তোলা হয়। এদিকে, শনিবার সকালে বালুরঘাটের রঘুনাথপুরে বাঁশের সাঁকো পরিদর্শন করতে গিয়েছিলেন থানার আইসি শান্তিনাথ পাঁজা, বিডিও সম্বল ঝা, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরূপ সরকার সহ অন্যান্যরা। তাঁদের সামনেই এদিন বালি চুরি নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গেই আইসির নির্দেশে পুলিস অভিযান চালায়। টের পেয়ে বালির নৌকা পালাতে থাকে। ডাঙ্গা পঞ্চায়েতের কাছে গিয়ে পুলিস সেই বালির নৌকা সহ দু’জনকে আটক করে। এই নৌকোটি আটক করা হয়। - নিজস্ব চিত্র।