কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে রাজমাতা দিঘির চারপাশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে বদলাতে শুরু করেছে এলাকার পরিবেশ। এই মডেল সফল হলে আগামী দিনে কোচবিহার শহরের অন্যান্য দিঘিকেও এভাবে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে বলে মনে করেন স্থানীয় বাসিন্দা সহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। রাজমাতা দিঘির পাশেই রাজমাতা মন্দির। সেখানে নিত্যপুজো হয়। বহু মানুষ প্রতিদিন আসেন। বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে স্থানীয়রা রাজমাতা দিঘির জল ব্যবহার করেন। বহু প্রাচীন এই দিঘি ঘিরে সাধারণ মানুষের মধ্যে আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। আগামী দিনে এই উদ্যোগ ঘিরে দিঘিটি আরও সেজে উঠবে, এটাই স্থানীয়দের আশা।
কোচবিহার পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার তথা বর্তমান কাউন্সিলার পম্পা ভট্টাচার্যের স্বামী রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, স্থানীয় এক শিক্ষক বেঙ্গালুরু থেকে পদ্মের বীজ এনেছিলেন। বছর তিনেক আগে তিনি সেই বীজ রাজমাতা দিঘিতে ফেলেন। এবার সেই শ্বেতপদ্ম ফুটেছে। এটা এতটাই সুন্দর যে, তা দেখতে শহরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা আসতে শুরু করেছেন। পরিবেশপ্রেমী সংগঠনের সদস্যরা রাজমাতা দিঘি পরিষ্কার করেছেন। কোচবিহারের একটি সংগঠন পদ্ম-মধু সংগ্রহের প্রক্রিয়া ও বীজ সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে। এই দিঘিতে প্রতিবছর পরিযায়ী পাখির দল আসে। কচ্ছপও রয়েছে। সবমিলিয়ে আগামী দিনে এখানে সুন্দর প্রাকৃতিক পরিবেশ ফিরে আসবে, সেটাই আমাদের আশা।
কোচবিহারের ওই সংগঠনের সদস্য সুমন্ত সাহা বলেন, রাজমাতা দিঘিকে মডেল ধরে আমরা কোচবিহারের বিভিন্ন দিঘি নিয়ে কাজ করছি। এই দিঘিতে এবার শ্বেতপদ্ম ফুটেছে। এখানে পরিযায়ী পাখিও আসছে। শ্বেতপদ্ম ঘিরে যে জীববৈচিত্র্যের সম্ভবনা রয়েছে তা নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচার করছি। পাশাপাশি সেখানে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হচ্ছে। যেহেতু শহরের কোনও দিঘিতে শ্বেতপদ্ম নেই, তাই সেখানে মৌমাছি চাষের কথা আমাদের মাথায় এসেছে। শ্বেতপদ্ম থেকে যদি মধু বের করা যায়, সেজন্য মধু সংগ্রহের কিছু বাক্স বসানো হয়েছে। একটা দিঘি ঘিরে এতকিছু করা সম্ভব, সেই বার্তা আমরা এর মাধ্যমে দিতে পারব। নিজস্ব চিত্র