কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
শিলিগুড়ি শহরের পানীয় জলের সমস্যা বহুদিনের। গরমের মরশুম শুরু হলে সেই সমস্যা মারাত্মক আকার নেয়। এবারও সেই সমস্যা শুরু হয়েছে। যারমধ্যে মেয়রের ৩৩ নম্বর এবং জল বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্যর ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের বহু এলাকায় পৌঁছচ্ছে না নলবাহী পানীয় জল। যারফলে সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা জলেরপাত্র নিয়ে এদিকে-ওদিকে ছোটাছুটি করছেন। কিংবা কেউ কেউ বেসরকারি সংস্থার কাছ থেকে জল কিনে খাচ্ছেন। আবার কিছু এলাকায় নলবাহী জল পৌঁছলেও তা অপ্রতুল। নলবাহিত জলে গতি নেই। কল দিয়ে সুতোর মতো জল পড়ছে। কখনও ৩০ মিনিট, আবার কখনও দু’বেলার পরিবর্তে একবেলা জল মিলছে। শুধু ওই দু’টি ওয়ার্ড নয়, এমন পরিস্থিতি ২০, ৩১, ৩২, ৩৫, ৩৬, ৪০, ৪২, ৪৩, ৪৪ প্রভৃতি ওয়ার্ডেও তৈরি হয়েছে। অনেক বাড়িতে জলের কুয়োও শুকিয়ে গিয়েছে। স্থানীয়দের বক্তব্য, গরমের দাপট যত বাড়বে, এই সমস্যাও তত তীব্র হবে। এজন্য জল কিনে খেতে হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, পুরসভা ও প্রশাসনের প্রয়োজনীয় উদ্যোগের অভাবেই পানীয় জলের সঙ্কট মিটছে না। ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলিতে জলের ট্যাঙ্ক পাঠিয়েছে পুরসভা। তারা জলের পাউচও বিলি করছে। পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য বলেন, বর্তমানে ফুলবাড়ির প্লান্টে জল উৎপাদনের পরিমাণ দৈনিক ৫৫ মিলিয়ন লিটার। কিন্তু শহরে জলের চাহিদা প্রায় ১০০ এমএলডি। স্বভাবতই শহরে পানীয় জলের সঙ্কট রয়েছে। তাছাড়া কয়েকদিন আগে পূর্তদপ্তরের কাজের জেরে সেভক রোডে জলে পাইপ ফেটে যায়। সেজন্য কিছু এলাকায় সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তা মেটানো হয়েছে। এছাড়া ভূ-গর্ভস্থ জলের স্তর নেমে যাওয়া, পাম্প চালিয়ে নলবাহী জল চুরি সহ বিভিন্ন কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলিতে প্রায় ১৫টি জলের ট্যাঙ্ক পাঠানো হয়েছে।
এদিন সন্ধ্যায় ব্যারেজের ৪৫টি গেট খুলে তিস্তার জল শুকোতে হয়েছে। এজন্য ব্যারেজ থেকে লিঙ্ক ক্যানেলে জল সরবরাহ করা হয়নি। এর প্রভাব শহরের পানীয় জল প্রকল্পে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা। আজ, শনিবার সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করবেন মেয়র গৌতম দেব। পুরসভার জল বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য অবশ্য বলেন, এখনও ক্যানেলে কিছুটা জল মজুত রয়েছে। তা পরিস্রুত করে আরও তিন-চারদিন শহরে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। এরপরে শুধুমাত্র মহানন্দা নদীর জল পরিস্রুত করে সরবরাহ করা হবে। তখন কিছুটা সঙ্কট দেখা দিতে পারে। এ ধরনের সমস্যা দূর করতেই ৫৭৫ কোটি টাকায় তৈরি করা হচ্ছে মেগা জল প্রকল্প। যার প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।