ব্যবসায়িক কাজকর্ম ভালো হবে। ব্যবসার প্রসারযোগও বিদ্যমান। উচ্চশিক্ষায় সন্তানের বিদেশ গমনের সুযোগ আসতে পারে। গৃহশান্তি ... বিশদ
প্রতিবারের মতো এবারেও হংকংয়ের ইন্ডিয়ান রিক্রিয়েশন ক্লাবে দুর্গাপুজোর আয়োজনে মেতে উঠেছেন অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা। সুসজ্জিত প্যান্ডেলে মাতৃমূর্তির অধিষ্ঠান। পুজোর জন্য প্রতি তিন বছর অন্তর কলকাতার কালীঘাট থেকে প্রতিমা পাড়ি দেয় সুদূর হংকংয়ে। প্রতিমা শিল্পী অরুণ পাল। মজার বিষয় কলকাতা থেকে একজন পুরোহিত এবং দু’জন ঢাকিও প্রতিবছর এই পুজোর জন্য সুদূর হংকংয়ে উপস্থিত হন। পুজোর ক’দিন এলাহি খাওয়াদাওয়ার জন্য রাঁধুনিও আসেন কলকাতা থেকেই।
হংকংয়ের এই দুর্গাপুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য সর্বধর্ম সমন্বয়। জানা যাচ্ছে, শুধু বাঙালি নয়, অবাঙালিরাও এই পুজোতে সর্বতোভাবে অংশগ্রহণ করেন। পুজোর দিনে সন্ধ্যায় প্যান্ডেলে গড়ে ২০০ থেকে ৩০০ জন দর্শনার্থীর সমাগম হয়। পুজোর জন্য সদস্যরা আগাম ছুটিও নিয়ে নেন। কমিটির তরফ থেকে পুজোর দিনে সন্ধ্যায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজনও করা হয়। ষষ্ঠীর দিন ‘আগমনি’র হাত ধরে এই অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অষ্টমীর সন্ধ্যায় আবাসিকদের জন্য রয়েছে ধুনুচি নাচ ও শঙ্খধ্বনি প্রতিযোগিতা। পুজোর দিনে সদস্যদের জন্য রয়েছে ভোগের বন্দোবস্ত। এক ছাদের নীচে ভোগ মুখে তুলে দেবীর আশীর্বাদধন্য হন প্রত্যেকে। মায়ের ভোগের মধ্যে রয়েছে খিচুড়ি ও পায়েস। অষ্ঠমীতে সন্ধিপুজোর বিশেষত্ব লুচি ও হালুয়া। এখানেই শেষ নয়। সদস্যদের জন্য প্রতিদিন দু’বেলা খাবারের ব্যবস্থাও রয়েছে। মূলত নিরামিষ পদের আয়োজন করা হয়। দুপুর ও রাতের জন্য থাকে ভিন্ন পদ। দশমীর সকালে সিঁদুর খেলা এই পুজোর আরও এক আকর্ষণ। ভাসানের বাদ্যি বাজার পর দুপুরে সদস্যদের জন্য থাকে রকমারি আমিষ পদ সহযোগে লাঞ্চ। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান জিতে নিয়েছিল এই পুজো।