যানবাহন ক্রয়বিক্রয়ে অর্থলাভের যোগ আছে। চাকরিতে উন্নতি হবে। প্রিয়জন সম্পর্কে উন্নতি। ... বিশদ
জানা গিয়েছে, হাইওয়েতে তীব্র যানজটের জন্য গঙ্গোত্রী পৌঁছতেই লেগে যাচ্ছে প্রায় ১৬ থেকে ২০ ঘণ্টা। ফলে চূড়ান্ত ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। চণ্ডীগড় থেকে ৫৪ জন পুণ্যার্থীর সঙ্গেই কেদারনাথ দর্শনে এসেছিলেন অমিত ভরদ্বাজ। বিরক্তির সুরে তিনি বলেন, ‘সোমবার ভোরে কোনক্রমে গঙ্গোত্রী মন্দিরে পৌঁছাই। কিন্তু ফেরার পথে দুর্ভোগ চরমে ওঠে। দুপুর ২টো নাগাদ হর্শিলের কাছে যানজটে আটকে পড়ি। তারপর সুক্কির হোটেলে ফিরতে মঙ্গলবার রাত ২টো বেজে যায়।’ চরম অব্যবস্থার মধ্যে মাঝপথে চারধাম যাত্রা বাতিল করে ফিরে যেতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। মহারাষ্ট্র থেকে এসেছিলেন অনিতা পাওয়ার। চরম অব্যবস্থার মধ্যে পড়ে গঙ্গোত্রী মন্দির দর্শন না করেই যেতে বাধ্য হয়েছেন তাঁরা। অনিতা বলেন, চারধাম যাত্রায় মাথাপিছু খরচ পড়ে যাচ্ছে প্রায় ১ লক্ষ টাকা। তারপরও তীর্থযাত্রা সম্পূর্ণ না করতে পারলে তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক।
রাস্তায় আটকে পড়া যাত্রীদের জন্য ন্যুনতম পানীয় জল, খাবার বা শৌচাগারের ব্যবস্থাও নেই বলে অভিযোগ। রাজেশ সেমওয়াল নামে এক পুরোহিতের দাবি, এই অব্যবস্থার ফলে দর্শনার্থীদের আবেগে আঘাত লাগছে। পাশাপাশি, রাজ্যেরও মুখ পুড়ছে। অব্যবস্থার জন্য দায়ী আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি তুলেছেন তিনি। বুধবারই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ডাকেন উত্তরাখণ্ড পুলিসের ডিজি অভিনব কুমার। এরপরই বিভিন্ন রাজ্যের ডিজিপিদের চিঠি পাঠানো হয়। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত কোনও রাজ্য থেকেই যাতে ভিআইপি দর্শনার্থীরা চারধাম যাত্রায় না আসেন, তা পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয় চিঠিতে।