অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনী ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাবে, বীরভূমে রক্তপাতহীন ভোটের নজির প্রায় নেই। এছাড়া, আসানসোল কেন্দ্রও উত্তেজনাপ্রবণ বলেই কমিশনের খাতায় লিপিবদ্ধ। বর্ধমানেও ভোটের দিন কম-বেশি অশান্তি ও হিংসার ইতিহাস রয়েছে। আর বহরমপুরের রাজনৈতিক উত্তাপ নিয়ে কমিশন যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। এসব বিষয় মাথায় রেখেই জেলাগুলিকে ভোটের দিন বেশ কিছু ‘প্ল্যান অব অ্যাকশন’ তৈরি রাখতে বলেছে কমিশন। সূত্রের খবর, চিহ্নিত সম্ভাব্য গোলমালকারীদের নির্বাচনের আগের রাত অর্থাৎ রবিবারের মধ্যে ‘প্রিভেন্টিভ অ্যারেস্ট’ করতে হবে। ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত হেফাজতে রাখতে হবে তাদের। সমস্ত জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর করতে হবে। গত বিধানসভা ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেখানে যেখানে অশান্তি হয়েছে, সেসব জায়গায় আগে থেকেই ‘কুইক রেসপন্স টিম’ এবং ‘হেভি রেডিও ফ্লাইং ভেহিকল’-এর টহলদারি রাখতে হবে। বুথের বাইরে রাজ্য পুলিস ও কেন্দ্রীয় বাহিনী যৌথভাবে মোতায়েন রাখতে হবে। চতুর্থ দফায় আটটি কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোতায়েন থাকবে মোট ৫৭৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। পাশাপাশি, রাজ্য পুলিসের ৩০ হাজার কর্মী মোতায়েন করা হবে। এর মধ্যে আসানসোলে মোতায়েন থাকবে ৮৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বীরভূমের দু’টি আসনের জন্য মোট ১৩১ কোম্পানি আধাসেনা রাখা হচ্ছে। কৃষ্ণনগরে থাকবে ৮১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। বহরমপুর তথা মুর্শিদাবাদে ৭৩ কোম্পানি বাহিনী। পূর্ব বর্ধমানে ১৫২ ও রানাঘাটে ৫৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে ভোটের দিন। এই দফায় মোট ১৫,৫০৭টি বুথের মধ্যে ৩,৬৪৭টি স্পর্শকাতর হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। এই বুথগুলিতে বিশেষ নজরদারি রাখা হচ্ছে বলে খবর।