গৃহে বা বাইরে পড়ে গিয়ে দেহে আঘাত বা অস্থিভঙ্গ হতে পারে। কাজকর্মে মনোযোগের অভাব। ... বিশদ
কিন্তু কেন এই দফাকে ‘টাফেস্ট’ বলছে কমিশন? তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারণ এই দফাতেই অন্তত দু’টি কেন্দ্রে ৮০ শতাংশের বেশি বুথ স্পর্শকাতর বা কমিশনের ভাষায় ‘ক্রিটিক্যাল’ হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। আর শেষ মুহূর্তে তাই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের সংখ্যা বেশ কিছুটা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। ঠিক হয়েছে ৬১৩ কোম্পানি বাহিনীর পরিবর্তে এই দফায় মোতায়েন থাকবে ৬৫০ কোম্পানি আধাসেনা।
কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, এই দফায় ৭টি কেন্দ্রের মোট ১৩ হাজার ৪৮১টি বুথের মধ্যে ৫৭ শতাংশ অর্থাৎ ৭ হাজার ৭১১টি বুথ স্পর্শকাতর। অথচ প্রথম দফায় স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ছিল ১৪.৫২ শতাংশ, দ্বিতীয় দফায় ছিল ৩২.১৯ শতাংশ, তৃতীয় দফায় ৪০.২১ শতাংশ এবং চতুর্থ দফায় স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ছিল ২১.৩৫ শতাংশ। কমিশনের তথ্য অনুযায়ী হুগলি কেন্দ্রে মোট ২০৪৮টি বুথের মধ্যে ১৭৮৭টি বুথ অর্থাৎ প্রায় ৮৭.২৫ শতাংশ বুথ স্পর্শকাতর হিসাবে চিহ্নিত হয়েছে। এছাড়াও আরামবাগ কেন্দ্রে ৮৫.১৭ শতাংশ বুথ এবার স্পর্শকাতর। এখানে ২০৭৮টি বুথের মধ্যে ১৭৭০টি বুথ উত্তেজনাপ্রবণ হিসাবে দেখছে কমিশন। এছাড়াও বারাকপুরে ৬৭.১৯ শতাংশ এবং শ্রীরামপুর কেন্দ্রে মোট বুথের মধ্যে ৫৯.৫৩ শতাংশ এবার স্পর্শকাতর। তার ভিত্তিতেই বাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। জানা যাচ্ছে, হুগলি গ্রামীণে সর্বোচ্চ ১৮১ কোম্পানি, হাওড়া গ্রামীণে ১১১ কোম্পানি, বারাসত পুলিস জেলায় ২১ কোম্পানি, বারাকপুর পুলিস কমিশনারেটের আওতাভুক্ত এলাকায় ৬৫ কোম্পানি, বসিরহাট পুলিস জেলায় ১৮ কোম্পানি, বনগাঁ পুলিস জেলায় ৫৫ কোম্পানি, চন্দননগর পুলিস কমিশনারেটে ৬৪ কোম্পানি, হাওড়া পুলিস কমিশনারেটে ৮১ কোম্পানি, পশ্চিম মেদিনীপুরে ২৪ কোম্পানি এবং বনগাঁ কেন্দ্রের অন্তর্গত রানাঘাট এলাকায় ৩০ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন থাকবে। বুথের বাইরে থাকবে ৫৬৭টি কুইক রেসপন্স টিম। রাজ্যে মোতায়েন থাকবে ৭৯৯ কেন্দ্রীয় বাহিনী।