প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করে অভিষেকের হুংকার, ‘এমনভাবে ইভিএমে বোতাম টিপুন, যাতে দিল্লিতে ভূমিকম্প হয়।’ ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধি, গ্যাসের দাম, ওষুধের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়েও তিনি এদিন সোচ্চার হয়েছেন। বিজেপি মিথ্যা কথা বলছেন বলেও অভিযোগ করেন অভিষেক। তিনি বলেন, ‘অমিত শাহ বলেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাকি এখানে দুর্গাপুজোর ছুটি দেন না। মিথ্যে কথা। গত বছর তিনি দশ দিন ছুটি দিয়েছিলেন। কোনও রাজ্যে ১১ দিন ছুটি দিলে আমরা রাজনীতি ছেড়ে দেব।’
এদিন সকালে পুরশুড়ার জনসভায় যোগ দেন অভিষেক। উপস্থিত শ্রোতাদের সতর্ক করে বলেন, ‘বিজেপিকে ভোট দেওয়া মানে খাল কেটে কুমির ডেকে আনা।’ ইন্ডিয়া জোটের পক্ষেও সওয়াল করেন তৃণমূল এই নেতা। ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে দেশের সকল বিপিএল তালিকাভুক্ত মানুষকে ১০টি করে রান্নার গ্যাসের সিলিন্ডার দেওয়ার কথা জানান। একইসঙ্গে ভারতের ৫০ কোটি মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় আনা হবে বলে ঘোষণা করেন। তারপরই রাজ্যের প্রতি কেন্দ্রের নানা বঞ্চনা নিয়ে সরব হন। জনগণের প্রতি তাঁর আহ্বান, ‘যারা একশো দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে তাদের ২০ তারিখ উচিত শিক্ষা দিন।’ পাশাপাশি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে অভিষেক বলেন, ‘আরামবাগ, খানাকুল, গোঘাট পুরশুড়ায় বিজেপির বিধায়ক রয়েছেন। ক’জন বিধায়ক মোদিকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, একশো দিনের টাকা মানুষের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দেওয়া হোক। বিজেপির বিধায়করা যদি দেখাতে পারেন গত তিন বছরে প্রধানমন্ত্রী বা কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ১০ পয়সা দিয়েছেন, তাহলে ভোট চাইতে আসব না। বিজেপি আরামবাগের জন্য কি করছে তার রিপোর্ট কার্ড প্রকাশ করার কথা বলেন ডায়মন্ডহারবারের তৃণমূল প্রার্থী। তিনি বলেন, ‘আমরা বলছি বৈচিত্র্যের মধ্যে একতা। ওরা হিন্দু মুসলমান, তফসিলি জাতিদের মধ্য ভাঙন ধরাচ্ছে। এলাকায় এলাকায় যান দেখবেন ভদ্রলোকেরা বিজেপি করে না।’
অভিষেকের মন্তব্য প্রসঙ্গে আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, ‘উনি ভুলে গিয়েছেন ২০১৯ ভোটে আমাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছিল। একুশের বিধানসভায় আরামবাগে তৃণমূল ধুয়েমুছে গিয়েছিল। সকলস্তরের মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছিলেন।’