প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
দিল্লিতে হামেশা তল্লাশিতে যেতে হয় রাজ্য পুলিসকে। কোনও অভিযুক্ত ধরা পড়ার পর অফিসাররা তাকে নিয়ে সরকারি ওই অতিথিশালায় নিয়ে ওঠেন। রাত কাটিয়ে পরদিন ট্রেন ধরেন তদন্তকারীরা। কিছুদিন আগে রাজ্য পুলিস এমনই এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি থেকে। তাকে নিয়ে গিয়ে যথারীতি রাখা হয় বঙ্গভবনে। উপযুক্ত নিরাপত্তা ছাড়াই ঘরে রেখে দেওয়া হয়েছিল তাকে। তদন্তকারীরা ঘুমিয়ে পড়লে সেই অভিযুক্ত দরজা খুলে পালিয়ে যায়! ব্যাপারটি নিয়ে বেধে যায় রীতমতো হুলস্থুল কাণ্ড। বিষয়টি নিয়ে দিল্লি পুলিসে অভিযোগ হওয়ার পর তারা রাজ্য পুলিসের কাছ থেকে বিভিন্ন নথি সংগ্রহ করে। সিসিটিভি ফুটেজও নেওয়া হয় বঙ্গভবনের।
এই ঘটনার পর রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েন রাজ্য পুলিসের অফিসাররা। নিয়মানুযায়ী ভিন রাজ্যে অভিযুক্ত ধরা পড়লে মেডিক্যাল চেকআপের পর তাকে লক আপে রাখতে হবে। সেটির জন্য জেনারেল ডায়েরি (জিডি) করা থাকে। তাতে ধৃতের নাম এবং কোথা থেকে, কী কেসে, কারা ধরেছে সবকিছু লিখতে হয়। তাকে পাহারা দেওয়ার জন্য সারাক্ষণ পুলিস থাকে।
বঙ্গভবনে কোনও লকআপই নেই। আর সেখানে অভিযুক্তকে নিয়ে যাওয়ার পর খাতায়কলমে কোনও কিছু নথিভুক্ত থাকে না। বঙ্গভবনের সর্বশেষ অভিযুক্তটি পালানোর পর এই ধরনের অসংখ্য প্রশ্নের মুখে পড়েন তদন্তকারীরা। এরপরই বুধবার রাজ্য পুলিসের এডিজি আইনশৃঙ্খলা নির্দেশিকা জারি করে জানিয়ে দিয়েছেন, দিল্লিতে কোনও অভিযুক্তকে ধরলে তাকে নিয়ে স্থানীয় থানাতেই রাখতে হবে। সূত্রের খবর, এই নির্দেশ কেউ অমান্য করলে তিনি কড়া শাস্তির মুখে পড়বেন বলেও সতর্ক করা হয়েছে।