প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন বাঁকুড়া লোকসভার প্রার্থী সুভাষ সরকারের সমর্থনে হাঁসডিমা ফুটবল মাঠে প্রথম সভাটি করেন নাড্ডা। দুপুর ১২টায় সভা হওয়ার কথা ছিল। তবে তিনি এসে পৌঁছন দুপুর ৩টেয়। ফলে অনেক মানুষ ধৈর্য হারা হয়ে হেলিকপ্টার দেখে বাড়ি ফিরে যান। সভায় ভিড় প্রসঙ্গে বিজেপির এক নেতা বলেন, ৪০ ঘণ্টার মধ্যে সভার প্রস্তুতির কাজ করা হয়েছে। তাছাড়া প্রচণ্ড গরমের জন্য মানুষ আসতে পারেননি।
এদিনই বিকেলে বিষ্ণুপুরের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁর সমর্থনে সভা করেন নাড্ডা। গঙ্গাজলঘাটি হাইস্কুল মাঠে ওই সভা হয়। তিনি পৃথক দু’টি জনসভা থেকে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, কংগ্রেসের সময় নির্বাচন এলে তুষ্টিকরণ, ধর্মীয়করণ করিয়ে ভোট করানো হতো। মোদিজি যখন থেকে সরকারে এসেছেন, সবকা সাথ সবকা বিকাশের মাধ্যমে নির্বাচন হচ্ছে। মোদির নেতৃত্বে দেশে আতঙ্কবাদীদের ঘুম উবে গিয়েছে। অথচ দিদির রাজ্যে সেই আতঙ্কবাদীরা আশ্রয় নিচ্ছে। দিদি তাদের সাথ দিচ্ছেন। রেলে প্রচুর উন্নয়নের কাজ করা হয়েছে। প্রতিটি রেল স্টেশনকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে। বিজেপি জিতলে মানুষের বাড়িতে আর বিদ্যুৎ বিল আসবে না। হর ঘর বিদ্যুৎ মুক্ত যোজনা থেকে প্রতিটি পরিবার ১০০ইউনিট বিনামূল্যে বিদ্যুৎ পাবে। বিজেপি জিতলে পশ্চিমবঙ্গে বন্ধ থাকা আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প চালু হবে। যাতে প্রতিটি মানুষ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন।
কয়লা, বালি, গোরু পাচারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, মন্ত্রীরা জেলে গিয়েছেন। সোমবার এলাকার কয়লা মাফিয়া কোর্টে হাজিরা দিয়েছেন। বিজেপি জিতলে চোরেরা জেলে যাবে। তিনি মোদি সরকারের নানা সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলার ছ’কোটি জনতাকে প্রত্যেক মাসে পাঁচ কেজি চাল ও এক কেজি ডাল দিচ্ছেন মোদিজি। মমতা ও তৃণমূল সেই চাল চুরি করেছে। তাই এদের সবাইকে ঘরে বসিয়ে দিন। আবাস যোজনায় মোদি টাকা দিচ্ছেন। আর মমতা নিজের নামে প্রচার করছেন। আবাস যোজনার হিসেব দিচ্ছেন না মমতাজি।