প্রশাসনিক রাজকর্মচারীদের কর্ম ব্যস্ততা বৃদ্ধি। দুপুর থেকে চিন্তার অবসান ও বাধামুক্তি। ... বিশদ
‘ওরা কথা রাখে না। ওদের ভোট দেবেন না।’ মূলত এই আর্জি নিয়েই হরিয়ানার বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বিজেপি বিরোধিতায় সরব হচ্ছেন আন্দোলনকারীরা। গত ৭ মে থেকে হরিয়ানায় শুরু হয়েছে কিষান যাত্রা। চলবে ১৯ মে পর্যন্ত। ঠিক এই পদ্ধতিতেই অন্যান্য ‘ডাবল ইঞ্জিন’ রাজ্যে এবার আন্দোলন জোরদার করতে উদ্যোগী হয়েছেন বিক্ষোভকারী কৃষক নেতারা। মোদি সরকারের বিগত ১০ বছরের ‘ব্যর্থতা’র পরিসংখ্যান তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই উদ্যোগী হয়েছে সংযুক্ত কিষান মোর্চা। তাদের অভিযোগ, বিগত ১০ বছরে মোদি সরকার শুধুমাত্র পুঁজিপতিদের স্বার্থ রক্ষা করে গিয়েছে। ফলে গরিব মানুষ আরও দরিদ্র হয়েছেন। দেশের প্রায় ৮২ কোটি মানুষকে বেঁচে থাকার জন্য বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থার উপর নির্ভর করতে হচ্ছে। বিজেপি শাসিত রাজ্যে কৃষি শ্রমিকরা ঠিকমতো দৈনিক মজুরিও পাচ্ছেন না। কিষান মোর্চার দাবি, কেরলে একজন কৃষি শ্রমিক দিনে ৭৬৪ টাকা ৩০ পয়সা মজুরি পাচ্ছেন। অথচ গুজরাতে এই পরিমাণ মাত্র ২৪১ টাকা ৯০ পয়সা। সংযুক্ত কিষান মোর্চার অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে বছরে দু’কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি। বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি দপ্তরে প্রায় ৩০ লক্ষ শূন্যপদের সৃষ্টি হয়েছে। বাড়ছে না ১০০ দিনের কাজের মজুরিও। এমএসপিকে আইনের আওতায় আনছে না কেন্দ্রীয় সরকার। মোর্চার অভিযোগ, ১০ বছরে শ্রমিক, কৃষক, যুবদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সব নিয়েই বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে জোরদার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।