গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
গত ১২ মে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে আসেন বাংলাদেশের আওয়ামি লিগের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আনার। গত ১৩ মে-র পর থেকেই তাঁর সঙ্গে আর যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না, এমনটাই জানান পরিবারের সদস্যরা। এই বিষয়ে গত ১৮ এপ্রিল বরানগর থানায় একটি মিসিং ডায়েরিও করেন ১৭/৩ মণ্ডলপাড়া লেনের বাসিন্দা গোপাল বিশ্বাস নামের এক ব্যক্তি। পুলিসকে তিনি জানান, গত ১২ মে সন্ধ্যায় তাঁর বাড়িতে আসেন বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল। আওয়ামি লিগের নেতার সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সর্ম্পক ও পারিবারিক বন্ধুত্ব রয়েছে বলেই জানিয়েছেন গোপালবাবু। গত ১৩ মে দুপুরে চিকিৎসক দেখানোর জন্য বের হন আনোয়ারুল। কিন্তু সন্ধ্যায় ফেরার কথা থাকলেও তিনি আর ফিরে আসেননি। যদিও ১৫ মে তাঁর নম্বর থেকে একটি হোয়াটসঅ্যাপে ম্যাসেজ আসে। যাতে লেখা ছিল, তাঁকে আর ফোন করতে হবে না, দরকার হলে তিনি ফোন করবেন। মেসেজে আরও জানানো হয় দিল্লিতে ভিআইপিদের সঙ্গেই রয়েছেন আনোয়ারুল। ১৬ মে তাঁর ব্যক্তিগত সচিবকে ফোন করলে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। গোপালবাবু জানিয়েছেন, এমনকী আনোয়ারুলের সঙ্গেও যোগাযোগ করা যায়নি। এরপর ১৭ তারিখ আওয়ামি লিগের নেতার বাড়ি থেকে গোপালবাবুর কাছে ফোন আসে। তাঁরাও আনোয়ারুলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না বলে জানায়। তাই গত ১৮ মে বরানগর থানায় একটি মিসিং ডায়েরি করেন গোপালবাবু। সেই অনুযায়ী তদন্ত শুরু করে পুলিস। অপরদিকে জানা যায়, বরানগর থেকে বেড়িয়ে নিউটাউনের একটি আবাসনে গিয়েছিলেন আনোয়ারুল। তারপর থেকেই তাঁর আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিসের পাশাপাশি তদন্ত শুরু করে বাংলাদেশের গোয়েন্দা বিভাগও। এরই মধ্যে আজ, বুধবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে আনোয়ারুলকে খুন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে তদন্ত শুরু করেছে বাংলাদেশ পুলিস। কী কারণে এই খুন? সেই বিষয়ে এখনই কিছুই জানায়নি তদন্তকারীরা। বাংলাদেশের শাসক দলের সাংসদ খুনের ঘটনায় যৌথ তদন্ত শুরু হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, আনোয়ারুল আজিম বাংলাদেশের ঝিনাইদহ ৪ আসনের সাংসদ ও আওয়ামি লিগের কালীগঞ্জ উপজেলার সভাপতি। ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে মোট তিনবার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।