গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
এদিকে, বারাসত লোকসভার প্রার্থী ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সমর্থনে আগামী ২৩ মে সভা করতে এই সল্টলেকেই আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সভায় বেশি সংখ্যক মহিলা জমায়েতের টার্গেট নিয়েছে তৃণমূল। সেই মতো প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রস্তুতিও শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, এবারের লোকসভা নির্বাচনে সল্টলেকের মানুষ তৃণমূলকেই লিড দেবেন। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সল্টলেক তথা বিধাননগর বিধানসভা এলাকায় পিছিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে, ২০২১ সালে সেই ঘাটতি মেকআপ করে লিড নেয় তৃণমূল। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৯। বারাসত লোকসভা কেন্দ্র থেকে পরপর তিনবার জয়ী হয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ডাঃ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। এবারও তিনিই তৃণমূলের প্রার্থী। গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে ১ লক্ষ ১০ হাজারের বেশি লিড পেয়ে জয়ী হয়েছিলেন কাকলি। তবে, বিধাননগর বিধানসভায় ১৮ হাজার ৯১৬ ভোটে তিনি পিছিয়ে ছিলেন। দু’বছর পর ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে হারিয়ে তৃণমূল প্রার্থী সুজিত বসু প্রায় ৮ হাজার ভোটে লিড পান। তৃণমূল নেতৃত্ব ’২১-এর লিডকে আরও বাড়াতে মরিয়া।
দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর কর্মসূচির জন্য সল্টলেক শহরের বিএফ-সিএফ মাঠ নির্বাচিত করা হয়েছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে পুরসভার এই মাঠ খতিয়ে দেখে পুলিসও। মুখ্যমন্ত্রীর সভার প্রস্তুতির জন্য বিধাননগর পুরসভার মেয়র কৃষ্ণা চক্রবর্তী, ডেপুটি অনিতা মণ্ডল সহ মেয়র পারিষদ, কাউন্সিলার, রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়দের নিয়ে বৈঠক করেছেন মন্ত্রী সুজিত বসু। ওই বৈঠকের পর পুরসভার জনপ্রতিনিধিরা নিজের নিজের এলাকায় গিয়ে ছোট ছোট মিটিং করছেন। সেখানে মহিলা জমায়েতের উপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
কৃষ্ণা বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আসছেন শুনে এলাকার সকলেই আপ্লুত। মহিলাদের উপস্থিতি ভালোই হবে। সভার প্রস্তুতির জন্য মন্ত্রী সুজিত বসু আমাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। এবার বিধাননগরের মানুষ কাকলি ঘোষ দস্তিদারকেই আশীর্বাদ করবেন। তিনিই এবার এখান থেকে লিড পাবেন।