গৃহাদি নির্মাণে ব্যাঙ্ক থেকে ঋণপ্রাপ্তির যোগ আছে। কাজকর্মের স্বাভাবিক গতি বজায় থাকবে। বাতের বৃদ্ধি। ... বিশদ
তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে বুধবার হাওড়ার ইছাপুর থেকে কদমতলা হয়ে হাওড়া ময়দান ঘুরে সালকিয়া পর্যন্ত পদযাত্রা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চৌরাস্তায় পদযাত্রা আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হওয়ার পর গাড়িতে ওঠেন তিনি। কিছুটা এগতেই বাবুরডাঙা মোড়ে গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়েন তিনি। সেই সময় উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলে জটাধারী পার্কের দিকে হাঁটতে শুরু করেন মমতা। গলির মুখে এক দোকানিকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আমি তোমাদের এখানে সভা করে গিয়েছিলাম না? ভিতরে একটা মাঠ আছে’। চোখের সামনে মুখ্যমন্ত্রীকে ওভাবে দেখে সকলেই তখন থ। বিক্রেতা ও দোকানে দাঁড়ানো ক্রেতারা একযোগে বলে ওঠেন, ‘হ্যাঁ, দিদি। সামনের পার্কেই আপনি মিটিং করেছিলেন’। শুনে মমতা তাঁদের উদ্দেশে বললেন, ‘ঠিক মনে আছে। দেখেছ আমাকে এখানে নিয়ে আসেনি, তাই জোর করে এলাম’। দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ স্মৃতি রোমন্থন করেন তিনি। এরপর গলি ধরে কিছুটা হেঁটে যান। ভিড় সামলাতে তখন হিমশিম খাচ্ছেন নিরাপত্তা কর্মী এবং হাওড়ার পুলিস কর্তারা। মুখ্যমন্ত্রীকে সামনা-সামনি দেখে এলাকার বাসিন্দারাও নিজেদের চোখকে তখন বিশ্বাস করতে পারছিলেন না। ফিরতি পথে হঠাৎ একটি টোটোয় উঠে পড়েন তিনি। তারপর নেমে হাঁটতে থাকেন বাবুডাঙার শ্রীরাম ঢ্যাং রোড ধরে। এই রাস্তাটি অপরিসর। রাস্তার দু’ধারের বাড়ির জানালা, বারান্দায় যেন হামলে পড়েছিল পরিবারগুলি। এভাবেই তিনি হেঁটে পৌঁছে যান স্থানীয় এক কালী মন্দিরে। সেখানে কিছুক্ষণ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। স্থানীয় বাসিন্দা শ্রীমন্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা তো অবাক। দিদি কি না, পাড়ার গলিতে এভাবে হেঁটে বেড়াচ্ছেন। আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে এভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যেতে দেখিনি। তাই হয়তো, সবাই ওনাকে দিদি বলে’। আরেক বাসিন্দা বলেন, ‘কী এনার্জি দিদির। এতটা পদযাত্রা করার পরেও তিনি যেভাবে আমাদের পাড়ায় সময় কাটালেন, কথা বললেন, তা বোধহয় তাঁর পক্ষেই সম্ভব। দেখে মনে হচ্ছিল, মুখ্যমন্ত্রী যেন নিজের পাড়ায় এসেছেন’।
ফেরার পথে অরবিন্দ রোডে বড় মায়ের মন্দিরের সামনে গাড়ি দাঁড় করিয়ে প্রার্থনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর তাঁর গাড়ি ছোটে দ্বিতীয় হুগলি সেতু অভিমুখে। গাড়ি পৌঁছে যায় প্রায় অবনী মলের কাছে। তারপর হঠাৎই ফোন বেজে ওঠায় ফের রুট বদল হয় মমতার। তিনি আবার ফিরে আসেন হাওড়া ময়দানের মুখে চাঁদমারি ব্রিজের কাছে। ব্রিজ পেরনোর পর গাড়ি থেকে নেমে আবার হাঁটেন পিলখানা মোড় পর্যন্ত। সাধারণ মানুষের আব্দার যে!