কর্মস্থলে জটিল কর্মে সাফল্য ও সুনাম। অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় বাড়বে। ... বিশদ
সম্প্রতি, বিধাননগর কমিশনারেটের নারায়ণপুরের এক মহিলা এই ধরনের প্রতারণার শিকার হয়েছেন। তিনি একটি বেসরকারি হাসপাতালের এক চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট চাইছিলেন। কিন্তু, তাঁর কাছে ওই হাসপাতালের বা ওই চিকিৎসকের কোনও নম্বর ছিল না। তখন তিনি হাসপাতালের নাম লিখে অনলাইনে সার্চ করেন। সেখানে দেওয়া নম্বরে ফোন করেছিলেন। তারপরই তাঁকে একটি লিঙ্ক পাঠিয়ে বলা হয়, এখানে ক্লিক করে ৫ টাকা পেমেন্ট করুন। সেই টাকা দিয়েই প্রতারিত হন তিনি। তিনি এ বিষয়ে নারায়ণপুর থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস তাঁর ৫৭ হাজার টাকা উদ্ধারও করে। দিন কয়েক আগে সেই টাকা তাঁকে ফিরিয়ে দিয়েছে পুলিস। কিন্তু, প্রতারকদের এই নতুন কৌশল দেখে চিন্তায় পুলিসও। কারণ, বহু অসুস্থ মানুষ অনলাইনে হাসপাতাল বা চিকিৎসকের নম্বর সার্চ করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করেন।
তদন্তে পুলিস জানতে পেরেছে, ওই মহিলা অনলাইনে সার্চ করে যে নম্বর পেয়েছিলেন, সেটি আসলে প্রতারকদের একটি নম্বর ছিল। কাস্টমার কেয়ার সহ বিভিন্ন জায়গায় প্রতারকরা এভাবেই নিজেদের নম্বর দিয়ে রাখে। এক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। ফোন পেয়ে প্রতারকরা হাসপাতালের প্রতিনিধি সেজে একটি লিঙ্ক পাঠান। মহিলা বিশ্বাস করেই ৫ টাকা দিয়ে দেন। যেহেতু চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট, তাই সেখানে যে প্রতারণার ফাঁদ পাতা থাকতে পারে, সে ব্যাপারে ওই মহিলার কোনও সন্দেহই ছিল না। তাছাড়া, মাত্র ৫ টাকা পেমেন্ট করার জন্যও তিনি বিশেষ ভাবেননি। এরপর প্রতারকরা ৫৭ হাজার টাকা অ্যাকাউন্ট থেকে তুলে নিতেই তিনি বুঝতে পারেন, প্রতারণার শিকার হয়েছেন।
পুলিস ও বিশেষজ্ঞরা মানুষকে জানিয়েছেন, কোনও অ্যাপ ডাউনলোড বা লিঙ্কে ক্লিক করে পেমেন্ট করা চলবে না। এতে প্রতারকরা গ্রাহকের মোবাইলের অ্যাকসেস পেয়ে যেতে পারে। তাই যে কোনও মূল্যের টাকা পেমেন্ট করলেই পরবর্তী ক্ষেত্রে অ্যাকাউন্ট প্রতারকদের দখলে চলে যাবে এবং তা সাফ করে দেবে। তাই কোনও অচেনা ফোন থেকে এই ধরনের প্রস্তাব এলে এড়িয়ে চলুন, না হলেই বিপদ।