কর্মস্থলে জটিল কর্মে সাফল্য ও সুনাম। অর্থকড়ি উপার্জন বাড়বে। সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে ব্যয় বাড়বে। ... বিশদ
এদিন শাসন থানার অন্তর্গত চারটি জায়গায় রোড শো ও পথসভা করার কথা ছিল আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকির। এনিয়ে এদিন সকাল থেকেই চাপা উত্তেজনা ছিল বিভিন্ন গ্রামে। দলীয় পতাকা টাঙানোর সময় সাতসকালে বকুণ্ডাতে এক আইএসএফ কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সেই মারধরের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতেই নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে শাসন থানার পলতাডাঙা এলাকা। সংঘর্ষ বাধে আইএসএফ ও তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। অভিযোগ, এরপর আইএসএফ কর্মীরা শাসনের কেন্দ্রীয় তৃণমূলের কার্যালয়ে হামলা চালায়। ভাঙচুর করে ভিতরে থাকা বিভিন্ন জিনিসপত্র। বাইরে ফেলে দেওয়া হয় তৃণমূলের দলীয় পতাকা, ফেস্টুন ও ব্যানার। এরপর নতুন করে তেতে ওঠে এলাকা।
আইএসএফ নেতা মহম্মদ আবু বক্কর, শেখ নাজিমউদ্দিন, মুরাদ হোসেনরা বলেন, এদিন আমাদের দলীয় কর্মসূচি ছিল। নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে অনুমতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তৃণমূলের লোকজন পরিকল্পনা করে আমাদের কর্মীদের মারধর করেছে। তাঁদের মারধর করে রাস্তা থেকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার রাত থেকেই এই ধরনের ঘটনা ঘটাচ্ছে তৃণমূলের লোকজন। এভাবে আমাদের রোখা যাবে না। আর তৃণমূল নেতা রেজাউল করিম ও মেহেদি হাসান বলেন, এলাকায় সশস্ত্র অবস্থায় উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি করে আইএসএফ। আসলে সিপিএমের লোকেরা এখন আইএসএফ। তাই ওরা গুন্ডামি করছে। মিটিং-মিছিলের নাম করে আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। শুধু তাই নয়, আমাদের দলীয় কার্যালয়ে গিয়েও ভাঙচুর করেছে।
এদিকে, এদিন পূর্ব ঘোষণা মতো এলাকায় আসেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে আমরা ভোটের প্রচার করতে গিয়েছিলাম। তাতে তৃণমূল বাধা দিয়েছে। আমাদের কর্মীদেরকেও মারধর করেছে। পুলিসকে বলা হয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের গ্রেপ্তার করতে। পুলিস আশ্বস্ত করেছে। অন্যদিকে, উত্তেজনার খবর পেয়ে এলাকায় আসেন বারাসত পুলিস জেলার অতিরিক্ত পুলিস সুপার স্পর্শ নীলাঙ্গী। তিনি বলেন, সাময়িক সমস্যা হয়েছিল। দু’পক্ষই অভিযোগ জানিয়েছে। আর তার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।