প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
লোকসভা ভোটের আর তিন দফা বাকি। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি, চন্দ্রাভিযান, জি-২০ এখন বিজেপির প্রচারের পিছনের সারিতে চলে গিয়েছে। কারণ, বারবার সামনে চলে আসছে বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি ও সরকারের স্বৈরতান্ত্রিক আচরণের অভিযোগ। আর তাই চিরাচরিত মেরুকরণে ফিরেছেন নরেন্দ্র মোদি এবং তাঁর ব্রিগেড। অথচ, যে হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করে চব্বিশের মহারণে টিকে থাকতে মরিয়া হয়ে উঠেছে বিজেপি, সেই ধর্মের অন্যতম পুরোধাই আজ মোদি সরকারে বিরক্ত! কেন এই ক্ষোভ? এর নেপথ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী ক্ষেত্র বারাণসীতেই গো-সেবক প্রার্থীকে প্রার্থিপদ তুলে নেওয়ার জন্য গেরুয়া পার্টির হুমকি। শঙ্করাচার্যের অভিযোগ, ওই প্রার্থীর সমর্থকদের যোগী প্রশাসনের তরফে ভয় দেখানো হচ্ছে। এমনকী, সেখানকার মেয়র রাত ২টোয় দরজায় ধাক্কা দিচ্ছে। সাফ হুমকি দিচ্ছে, নাম প্রত্যাহার করতে হবে।
স্বামী অভিমুক্তেশ্বরানন্দ সরস্বতী বুধবার রাজস্থানের আলওয়ার থেকে ‘বর্তমান’-এর সাথে কথা বলার সময়ই এই তোপ দেগেছেন। তিনি বলেন, ‘এবার বারাণসীতে অন্ধ্রপ্রদেশের গো-সেবক শিবকুমার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তিনি গো-মাতা জোটের অন্তর্ভুক্ত এবং তাদের অনুমোদিত প্রার্থী। আর এখন কি না বারাণসীর মেয়র তাঁর সমর্থকদের ভয় দেখাচ্ছেন! প্রস্তাবকদের সরিয়ে দিয়ে গো-সেবক শিবকুমারের মনোনয়ন প্রত্যাহারে চাপ দিচ্ছে বিজেপি।’ তিনি বক্তব্য, ‘গো-মাতাকে রক্ষা করতে দেশের অনেক জায়গায় প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ বারাণসীতেই এই হাল কেন? পাঁচ মাস আগেই বিজেপি, কংগ্রেস, আম আদমি পার্টির মতো বড় দলগুলিকে গো-হত্যা নিষিদ্ধ করার শপথ নিতে বলা হয়েছিল। কেউ তাতে গা করেনি।’ শেষ পর্যন্ত বুধবার শিবকুমারের মনোনয়ন গৃহীত হয়েছে।
শঙ্করাচার্যের অভিযোগ, ‘চাপ দেওয়া হচ্ছে আমাকেও। এমনকী খুনের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, মঠ ধ্বংস করে দেব। এমন একজন ভুয়ো শঙ্করাচার্যকে খাড়া করা হচ্ছে, যিনি গো-মাতা রক্ষার কাজে নিযুক্তই নন!’ তিনি বলেন, ‘আমি কোনও দলের বিপক্ষে নই। বিজেপি জিতলে বা হারলে আমাদের কিছু যায় আসে না। রাজনীতির সঙ্গে আমাদের কোনও সম্পর্ক নেই। আমরা চাই গো-হত্যা বিরোধী আইন।’ তাঁর স্পষ্ট বার্তা, বিজেপির হিন্দুত্ব রাজনৈতিক। রাজনীতির স্বার্থে হিন্দুত্বকে যে ব্যবহার করা হচ্ছে, সেটাই ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিয়েছেন শঙ্করাচার্য। তাঁর কথায়, ‘দেশে এখন প্রকৃত হিন্দুত্ব দরকার। ১০ বছর সরকারে থাকার পরও যিনি গো-হত্যা বন্ধে আইন করতে পারেননি, তিনি রাজনৈতিক হিন্দু। যারা সত্যি বলে, উনি তাদেরও বিরোধিতা করেন।’