প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
অবিভক্ত বাংলায় নমঃশূদ্র হিন্দুদের একত্রিত করে তাঁদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, শিক্ষা ও সামাজিক মানোন্নয়নের সর্বাত্মক প্রয়াস নিয়েছিলেন হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুর। মতুয়া সম্প্রদায়ের অনেকই বিভিন্ন দল থেকে জনপ্রতিনিধি হয়ে আইনসভায় গিয়েছেন। কিন্তু চূড়ান্ত রাজনৈতিক সচেতনতা থাকলেও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাতি প্রমথরঞ্জন ঠাকুরের আগে ঠাকুরবাড়ির কেউ সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দেননি। তিনিই নমঃশূদ্রদের মধ্যে প্রথম বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার। ১৯৩৭ সালে ফরিদপুর দক্ষিণ (সংরক্ষিত) আসন থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রথম নির্বাচিত হয়েছিলেন। দেশভাগের পর ভারতে এসে ১৯৫৭ সালে কংগ্রেসের টিকিটে হরিণঘাটায় লড়াই করে বিধায়ক হন। ১৯৬২ সালে হাঁসখালি, ১৯৬৭’তে নবদ্বীপ লোকসভা কেন্দ্র থেকে বাংলা কংগ্রেসের হয়ে জয়। কিন্তু ওই কেন্দ্রে থেকে পরেরবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও সিপিএম প্রার্থী বিভা ঘোষের কাছে পরাজিত হন পি আর ঠাকুর।
কয়েক দশকের বিরতির পর ঠাকুরবাড়ি থেকে ফের সক্রিয় রাজনীতি শুরু হয়। ২০১১ সালে প্রমথবাবুর ছোট ছেলে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর তৃণমূলের টিকিটে বিধায়ক ও মন্ত্রী হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে প্রমথবাবুর বড় ছেলে তথা মঞ্জুলবাবুর দাদা কপিলকৃষ্ণ ঠাকুর বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের টিকিটে সাংসদ হন। কিন্তু কয়েক মাসের মধ্যে তিনি মারা যান। ২০১৫ সালে লোকসভার উপ নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছিলেন কপিলকৃষ্ণবাবুর স্ত্রী মমতাবালা ঠাকুর।
কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে ফের উলটপুরাণ। তৃণমূল প্রার্থী মমতাবালা ঠাকুরের বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী হন মঞ্জুলবাবুর ছোট ছেলে শান্তনু ঠাকুর। দ্বিতীয়বার আর ভোটে জেতা হয়নি মমতাবালাদেবীর। এবার ফের বনগাঁ কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার বিজেপির প্রার্থী শান্তনুবাবু। দ্বিতীয়বার একই আসনে দাঁড়িয়ে পরাজয়ের ইতিহাস ভাঙতে পারবেন শান্তনু? এই প্রশ্নই গেরুয়া শিবিরের কাছে কোটি টাকার থেকেও দামি। তবে গৃহযুদ্ধে বিদীর্ণ গেরুয়া শিবিরের পোড় খাওয়া যোদ্ধারা সিঁদুরে মেঘ দেখতে শুরু করেছেন। বলছেন, ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। যদিও বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, ‘শান্তনুবাবু কয়েক লক্ষ ভোটে জয়লাভ করবেন।’ মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষও সেটাই চাইছেন তো?