প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
এদিন বিকেলে মধ্য হাওড়ার ইছাপুর জলের ট্যাঙ্ক মোড় থেকে শুরু হয় মমতার পদযাত্রা। কদমতলা, পাওয়ার হাউস, পঞ্চাননতলা রোড, জি টি রোড, ডবসন রোড, ডঃ অবনি দত্ত রোড হয়ে পদযাত্রা শেষ হয় উত্তর হাওড়ার সালকিয়া চৌরাস্তায়। প্রায় ৫ কিমি দীর্ঘ পথে শিবপুর, মধ্য হাওড়া ও উত্তর হাওড়া বিধানসভা এলাকা দিয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রীর পদযাত্রা। তবে সালকিয়ায় পদযাত্রা শেষ করে কলকাতার উদ্দেশে বেরিয়ে যাওয়ার পর সবাইকে কার্যত চমকে দিয়ে ফের হাওড়ায় ফিরে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। হাওড়া ময়দানের কাছে বাঙালবাবু ব্রিজ থেকে পিলখানা পর্যন্ত তিনি দলীয় বিধায়ক, নেতাকর্মীদের নিয়ে হেঁটে যান। কেন তাঁর এই আচমকা প্রত্যাবর্তন, তা নিয়ে তৃণমূল সরকারিভাবে কিছু জানায়নি।
তবে সূত্রের খবর, এতটা পথ হাঁটলেও মমতার মিছিল পিলখানা এলাকায় না যাওয়ায় সেখানকার মানুষ দুঃখ পেয়েছেন বলে খবর পেয়েই তিনি ওই সিদ্ধান্ত নেন।
এদিন মমতার পদযাত্রার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রাস্তার দু’ধারে কার্যত তিল ধারণের জায়গা ছিল না। ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেও ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিসকে। ভিড়ের একটা বড় অংশ ছিলেন মহিলারা। নির্ধারিত পথে মিছিল যত এগিয়েছে, ততই দীর্ঘতর হয়েছে মিছিল। বাড়ির ছাদ থেকে বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে বহু মানুষ হাত নেড়ে, কেউ ফুল ছুড়ে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান।
কোথাও কোথাও দেখা গেল, বয়সের ভারে জবুথবু বৃদ্ধও ছুটে এসেছেন মমতাকে দেখবেন বলে। চেয়ারে বসে বা লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা গিয়েছে বহু প্রবীণ মানুষকে। উত্তর হাওড়ার গোলমোহরের কাছে এক কিশোরী সটান মুখ্যমন্ত্রীর সামনে এসে তার ড্রয়িং বুক এগিয়ে দেয় মমতার দিকে। আপ্লুত মমতা তাকে অটোগ্রাফ দেন। পদযাত্রার মধ্যেই অনেকবার রাস্তার ধারে গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলতে দেখা যায় মুখ্যমন্ত্রীকে।
এদিনের মিছিলে মমতার সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, অরূপ রায়, ইন্দ্রনীল সেন, মনোজ তিওয়ারি, উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরী, ডোমজুড়ের বিধায়ক কল্যাণ ঘোষ, বালির বিধায়ক ডাঃ রাণা চট্টোপাধ্যায়, হাওড়া পুরসভার প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী সহ অন্যান্যরা।