সোমবার ছিল বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন। তার দু’দিনের মধ্যেই এই কেন্দ্রের ফলাফল কী হতে চলেছে, তা খোলা মঞ্চে জানিয়ে দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী, বারাকপুরের তৃণমূল প্রার্থীর গলাতেও ঝরে পড়ল জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সুর।
মাত্র এক ঘণ্টার ভারী বৃষ্টি। তাতেই জলযন্ত্রণার চেনা ছবি ফিরে এল কলকাতায়। এখনও বর্ষা আসেনি। তাতেই এই হাল। ভরা বর্ষায় শহরের কী হবে? কপালে চওড়া ভাঁজ নাগরিকদের।
ভারী বৃষ্টি হলে হাওড়া স্টেশনের সাবওয়ে জল থইথই হয়ে যায়। এই জলছবি যাত্রীদের পরিচিত। তাই বলে অত উঁচু প্ল্যাটফর্মেও জল! বুধবার বৃষ্টির দুপুরে কার্যত বিরল চিত্র দেখলেন যাত্রীরা। এদিন একাধিক প্ল্যাটফর্মে রীতিমতো গোড়ালি সমান জল জমে যায়।
লোকসভা ভোটের প্রচার চললেও দমদমে বিরোধীদের মূল ইস্যু হয়ে উঠেছে পুর-পরিষেবা সংক্রান্ত নানা সমস্যা। বুধবার এই লোকসভা কেন্দ্রে জোড়া সভা থেকে বিরোধীদের তা নিয়ে কড়া জবাব জবাব দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁকে দেখতে রাস্তার দু’ধারে কাতারে কাতারে কিশোর-কিশোরী, যুবক- যুবতী ও প্রবীণ দাঁড়িয়ে রয়েছেন। হুডখোলা গাড়ির দিকে সকলের নজর। কেউ হাত নাড়ছেন। কেউ দৌড়ে এসে তাঁর হাত ছুঁতে নিরাপত্তার বেড়া ভাঙতে চাইছে।
কার্যত চারপাশ জল থৈ থৈ। হ্যাঙ্গারের ছাউনির নীচটুকু ছাড়া সভাস্থলের বাকি অংশ সহ আশপাশের রাস্তাও জলমগ্ন। মুখ্যমন্ত্রী হেলিকপ্টার ছেড়ে আসছেন গাড়িতে। কপালে চিন্তার ভাঁজ স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কপালে।
সংসদীয় রাজনীতিতে বাংলা তথা গোটা দেশ তাঁকে এক ডাকে চেনে। রাজ্য ও দেশের রাজনৈতিক থেকে প্রশাসনিক সমস্ত কর্মকাণ্ডের খবর তাঁর নখদর্পণে থাকে। অগাধ পাণ্ডিত্য, সুবক্তা। নানা ঘটনার সাল, তারিখ তাঁর ঠোঁটস্থ। এহেন সৌগত রায় বুধবার ঘোষণা করে দিলেন, এটাই তাঁর শেষ লোকসভা নির্বাচন!
আগে থেকেও ফলাও করে ঘোষণা করা হয়েছিল ভোটপ্রচারে আসবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। সেই মতো হাবড়া ও কলকাতায় সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রেখেছিল বিজেপি। কিন্তু, হাবড়ায় দীর্ঘক্ষণ পরেও মাঠ ভরাতে পারল না বিজেপি।
ঘাসফুল, পদ্ম, তারা-হাতুড়ি-কাস্তেকে চ্যালেঞ্জ জানাতে তাল ঠুকছে ল্যাপটপ, ক্যারম বোর্ড, ব্রাশ, খাট, আঙুর, ফুলকপি। লড়াইয়ে আছে হাওয়াই চটিও। খাওয়ার টেবিল ছেড়ে কপি ও আঙুর চলে এসেছে ভোট ময়দানে।
কেন্দ্রীয় সরকারের ধারাবাহিক আর্থিক বঞ্চনার শিকার বাংলা। প্রায়শই নরেন্দ্র মোদির সরকারের বিরুদ্ধে এই তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার ভারতীয় রেলের আওতাধীন দেশের একমাত্র মেট্রো পরিষেবায়ও পড়ল আর্থিক বঞ্চনার কোপ।
বহুতল আবাসনে ফ্ল্যাট কিনে ভাড়ায় দিয়ে দেন অনেকে। কিন্তু সেই ভাড়াটিয়া কী আদৌ থাকেন ফ্ল্যাটে? নাকি তিনি সেই ভাড়ার ফ্ল্যাট আবার ভাড়ায় দেন? বাংলাদেশের সাংসদ-কাণ্ডে নিউটাউনের বাসিন্দারা বলছেন, কার হাতে ফ্ল্যাটের চাবি রয়েছে, তা জানেন না বহু মালিক!
বাকি আর মাত্র ৯ দিন। তারপরেই কলকাতা শহরে বহু প্রতীক্ষিত অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। তাই প্রচার একেবারে তুঙ্গে। সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে জনসভা, শোভাযাত্রা চলছে। কলকাতা দক্ষিণ কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী এদিন হতাশ।
গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও তিনি বুথে গিয়ে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু গত সোমবার লোকসভার ভোট দিতে গিয়ে তিনি আকাশ থেকে পড়লেন! তাঁর অভিযোগ, ভোটগ্রহণের দায়িত্বে থাকা অফিসাররা তাঁকে জানিয়েছেন যে তিনি আগেই মারা গিয়েছেন!
কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: যত কাণ্ড বাইপাসের পাঁচতারা হোটেলে! শুক্রবার মাঝরাতে রূপান্তরকামী বাংলাদেশি স্ত্রী গুড়িয়া সাহাকে হোটেলের রুমে খুনের চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে কলকাতা বিমানবন্দরের কাছ থেকে অভিযুক্ত স্বামী আদিল শেখ এবং তার বন্ধু টাইগারকে গ্রেপ্তার করেছে প্রগতি ময়দান থানার পুলিস।
ঘড়িতে তখন মেরেকেটে রাত সাড়ে ১২টা। উইকএন্ড, তাই বাইপাস লাগোয়া বহুজাতিক পাঁচতারা হোটেল তখনও কিছুটা জমজমাট। হঠাৎ অভিজাত হোটেলের রুমে স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য কলহকে ছাপিয়ে শুরু হল হামলা, পাল্টা হামলা। অভিযোগ, বচসার সময় স্বামী আদিল স্ত্রীকে লক্ষ্য করে চিরুনি ছুড়ে মারে। সেটি স্ত্রীর মাথায় লাগে। এরপরই স্ত্রী অ্যাটাচ বাথরুমে ঢুকে আয়নায় মাথা ঠুকতে শুরু করে বলে অভিযোগ।
এতে স্ত্রীর মাথা ফেটে রক্ত বের হতে শুরু করে। রক্তাক্ত অবস্থায় হোটেলের লবিতে বেরিয়ে আসে রূপান্তরকামী স্ত্রী। হট্টগোল শুনে লবিতে ছুটে আসেন পাঁচতারা হোটেলের নিরাপত্তারক্ষীরা। খবর যায়, স্থানীয় প্রগতি ময়দান থানায়। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্ত্রীকে। পাশাপাশি, শহর ছেড়ে পালানোর মুখে বিমানবন্দরের কাছে আটক করা হয় স্বামী ও তার বন্ধুকে।
কলকাতা পুলিসের ডিসি (ইস্ট) অরিশ বিলাল জানিয়েছেন, ‘গোয়ায় আলাপের পর রূপান্তরকামী জেনেই আদিল শেখ ওই মহিলাকে ২ মে বিয়ে করেছিল।’ কিন্তু বিয়ের পর থেকে নানা অছিলায় আদিলের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করছিল রূপান্তরকামী স্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে অশান্তির সূত্রপাত। অন্যদিকে, আদিলের স্ত্রী পুলিসের কাছে পাল্টা অভিযোগ করেছে, বিয়ের পর থেকে আদিলের মাত্রাছাড়া শারীরিক চাহিদা সে আর মেটাতে পারছিল না।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কলকাতা পুলিস জানতে পেরেছে, বাংলাদেশ থেকে রূপান্তরকামী এক যুবক সীমান্ত পেরিয়ে বেআইনিভাবে ভারতে ঢোকে। তারপর হাওড়াতে বসবাস শুরু করে। এখানে থাকার সময় সে জাল আধার কার্ড তৈরি করে। এরপর দিল্লি পাড়ি দেয় ওই রূপান্তরকামী যুবক। সেখানে শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করে মহিলায় রূপান্তরিত হয়। অন্যদিকে, ধৃত আদিল শেখ গুজরাতের ভদোদরার বাসিন্দা। তাদের পারিবারিক কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি রয়েছে। তবে আদিলের রূপান্তরকামী স্ত্রী শনিবার দুপুরে তার আগের বক্তব্য থেকে সরে এসে জানিয়েছে, ২০১২ সালে সে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকে। এরপর কিছুদিন গুয়াহাটিতে বসবাস করার পর সেখান থেকে সে এরাজ্যে আসে। পরে বিহারে গিয়ে লিঙ্গ পরিবর্তন করে মহিলায় পরিণত হয়।
এদিকে, শুক্রবার পাঁচতারা হোটেল কাণ্ডে প্রগতি ময়দান থানার পুলিস মোট দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করেছে। একটি রূপান্তরকামী স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী আদিলের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন, খুনের চেষ্টা। অপরদিকে, রূপান্তরকামী বাংলাদেশি স্ত্রী বেআইনিভাবে ভারতে ঢোকায় তার বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টের পাশাপাশি জালিয়াতি, জাল নথিকে আসল বলে চালানো এবং মারধরের অভিযোগ এনেছে।
ঘড়িতে তখন মেরেকেটে রাত সাড়ে ১২টা। উইকএন্ড, তাই বাইপাস লাগোয়া বহুজাতিক পাঁচতারা হোটেল তখনও কিছুটা জমজমাট। হঠাৎ অভিজাত হোটেলের রুমে স্বামী-স্ত্রীর দাম্পত্য কলহকে ছাপিয়ে শুরু হল হামলা, পাল্টা হামলা। অভিযোগ, বচসার সময় স্বামী আদিল স্ত্রীকে লক্ষ্য করে চিরুনি ছুড়ে মারে। সেটি স্ত্রীর মাথায় লাগে। এরপরই স্ত্রী অ্যাটাচ বাথরুমে ঢুকে আয়নায় মাথা ঠুকতে শুরু করে বলে অভিযোগ।
এতে স্ত্রীর মাথা ফেটে রক্ত বের হতে শুরু করে। রক্তাক্ত অবস্থায় হোটেলের লবিতে বেরিয়ে আসে রূপান্তরকামী স্ত্রী। হট্টগোল শুনে লবিতে ছুটে আসেন পাঁচতারা হোটেলের নিরাপত্তারক্ষীরা। খবর যায়, স্থানীয় প্রগতি ময়দান থানায়। পুলিস রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্ত্রীকে। পাশাপাশি, শহর ছেড়ে পালানোর মুখে বিমানবন্দরের কাছে আটক করা হয় স্বামী ও তার বন্ধুকে।
কলকাতা পুলিসের ডিসি (ইস্ট) অরিশ বিলাল জানিয়েছেন, ‘গোয়ায় আলাপের পর রূপান্তরকামী জেনেই আদিল শেখ ওই মহিলাকে ২ মে বিয়ে করেছিল।’ কিন্তু বিয়ের পর থেকে নানা অছিলায় আদিলের থেকে মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করছিল রূপান্তরকামী স্ত্রী। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে অশান্তির সূত্রপাত। অন্যদিকে, আদিলের স্ত্রী পুলিসের কাছে পাল্টা অভিযোগ করেছে, বিয়ের পর থেকে আদিলের মাত্রাছাড়া শারীরিক চাহিদা সে আর মেটাতে পারছিল না।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে কলকাতা পুলিস জানতে পেরেছে, বাংলাদেশ থেকে রূপান্তরকামী এক যুবক সীমান্ত পেরিয়ে বেআইনিভাবে ভারতে ঢোকে। তারপর হাওড়াতে বসবাস শুরু করে। এখানে থাকার সময় সে জাল আধার কার্ড তৈরি করে। এরপর দিল্লি পাড়ি দেয় ওই রূপান্তরকামী যুবক। সেখানে শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে লিঙ্গ পরিবর্তন করে মহিলায় রূপান্তরিত হয়। অন্যদিকে, ধৃত আদিল শেখ গুজরাতের ভদোদরার বাসিন্দা। তাদের পারিবারিক কেমিক্যাল ফ্যাক্টরি রয়েছে। তবে আদিলের রূপান্তরকামী স্ত্রী শনিবার দুপুরে তার আগের বক্তব্য থেকে সরে এসে জানিয়েছে, ২০১২ সালে সে বাংলাদেশ থেকে ত্রিপুরা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকে। এরপর কিছুদিন গুয়াহাটিতে বসবাস করার পর সেখান থেকে সে এরাজ্যে আসে। পরে বিহারে গিয়ে লিঙ্গ পরিবর্তন করে মহিলায় পরিণত হয়।
এদিকে, শুক্রবার পাঁচতারা হোটেল কাণ্ডে প্রগতি ময়দান থানার পুলিস মোট দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করেছে। একটি রূপান্তরকামী স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী আদিলের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন, খুনের চেষ্টা। অপরদিকে, রূপান্তরকামী বাংলাদেশি স্ত্রী বেআইনিভাবে ভারতে ঢোকায় তার বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্টের পাশাপাশি জালিয়াতি, জাল নথিকে আসল বলে চালানো এবং মারধরের অভিযোগ এনেছে।
