অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
শনিবার হুগলির ‘লাইফ লাইন’ লোকাল ট্রেনে চেপে নিত্যযাত্রী মহল্লায় প্রচারে নামেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যান্ডেল থেকে চন্দননগর পর্যন্ত তাঁর সেই সফরে নিত্যযাত্রী মহল্লায় কার্যত হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। জনপ্রিয় তারকাকে হাতের কাছে পেয়ে শুরু হয়ে যায় সেলফি তোলার ধুম। জন উন্মাদনায় ভেসে প্রচার সেরেছেন রচনাও। তিনি বলেন, বহু বছর পরে লোকাল ট্রেনে সফর করলাম। সেই অভিজ্ঞতাও সুন্দর। পাশাপাশি মানুষ যেভাবে আমাকে আপন করে নিয়েছে, তার অনুভূতিও খুব সুন্দর। পরে রচনা চন্দননগরে প্রচার সারেন। দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে জনসভা করেন। পাশাপাশি স্লোগানের সঙ্গে কোমর দুলিয়ে চর্চায় এসেছেন তৃণমূলের শ্রীরামপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি শ্রীরামপুরের কালীতলা থেকে মাহেশ পর্যন্ত পদযাত্রা করেন। নিজেই স্লোগান দিয়েছেন, কোমর দুলিয়েছেন, আবার কড়া ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণও করেছেন। তাঁর নিশানা থেকে বাদ যায়নি বামেদের প্রার্থী দীপ্সিতা ধরও। তবে চর্চায় এসেছে তাঁর বটতলা এলাকার স্লোগান ও তার সঙ্গে তাল দিয়ে ‘নাচ’। এদিন কল্যাণবাবু বলেন, বামপ্রার্থী বলেছেন, তিনি বাংলার মেয়ে। তৃণমূল স্লোগান তুলেছিল, বাংলা নিজের মেয়েকেই চায়, তাই তিনি জিতবেন। আরে জেতা তো পরে, আগে বাংলার মেয়ে হয়ে উঠতে হবে তো। একে দিল্লিবাসী, তারপর একটা করে ভোটে দাঁড়ান, আর হেরে দিল্লি পালান। দীপ্সিতা এদিন কোন্নগরে প্রচারে ছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, উনি কল্যাণ নন, অকল্যাণ। বিজেপির শ্রীরামপুরের প্রার্থী কবীরশঙ্কর বসু এদিন জগৎবল্লভপুর, ডানকুনি, চণ্ডীতলা সহ বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করেন। কখনও পুজো কখনও চায় পে চর্চা, কখনও আবার শোভাযাত্রায় তাঁর প্রচারও ছিল জমজমাট। হুগলির বিজেপি প্রার্থী তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় আজ, রবিবার প্রধানমন্ত্রীর সভার তদারকিতে ব্যস্ত ছিলেন। তার মাঝেও এদিন বিচ্ছিন্নভাবে কিছু প্রচার তিনি করেছেন। হুগলির বামপ্রার্থী মনোদীপ ঘোষ দলীয় সভা ও পথসভার মাধ্যমে প্রচার সারেন।