অর্থকড়ি প্রাপ্তির যোগটি বিশেষ শুভ। কর্ম সাফল্য ও চিন্তার অবসান। দেবারাধনায় মন। ... বিশদ
এদিন দুপুর সওয়া দু’টো নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী বন্ধ ডানলপ কারখানার মাঠে সভা করতে আসেন। তাঁর উপস্থিতিতে রচনা বলেন, ‘আমি কথা দিচ্ছি, পাশে থাকব এবং ভালো রাখব।’ তৃণমূল সুপ্রিমো উন্নয়নের গুচ্ছ খতিয়ান পেশ করেন। সেই সঙ্গে নিজস্ব ভঙ্গিমায় কেন্দ্রীয় সরকারের যাবতীয় ত্রুটিকে বেআব্রু করে দেন। বলেন, ‘আমি রচনাকে হুগলিতে প্রার্থী করেছি। ও তো ভোটে দাঁড়াতেই চাইছিল না। আমাকে বলেছিল, দিদি, আমি রাজনীতি বুঝি না। আমি ওকে বলি, মানুষের কাজ করতে হলে কিছু বোঝার দরকার হয় না। শুধু ইচ্ছে থাকতে হয়। আমরাও অনেক কিছু বুঝতাম না। সময়ের সঙ্গে শিখে নিয়েছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘একজন-দু’জন দুষ্টু হতে পারে। কিন্তু অনেকেই মিষ্টি। আমাদের রচনা মিষ্টি মেয়ে। আমি অনেক আশা নিয়ে ওকে প্রার্থী করেছি। আপনারা ওকে ভোট দেবেন। কি দেবেন না?’ মমতার প্রশ্নের উত্তর এসেছে ইতিবাচক জনগর্জনে।
বন্ধ ডানলপ কারখানা নিয়েও মমতা এদিন বিজেপি নেতৃত্বকে নিশানা করেন। আজ, রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চুঁচুড়াতে সভা করার কথা। সেই প্রসঙ্গ টেনে মমতা বলেন, ‘বুকের পাটা থাকলে বলে যাবেন, কেন আমাদের ডানলপ অধিগ্রহণ বিল অনুমোদন করা হয়নি। জেশপ নিয়েও একই খেলা খেলেছে। কারণ, ডানলপের মালিক তাঁর দিল্লির একাধিক বাড়ি বিজেপি নেতাদের দিয়েছেন। আমি ডানলপের শ্রমিকদের মাসে মাসে টাকা দিই। কারখানার জমি, যন্ত্র বিক্রি করার সিন্ডিকেট চালানো হচ্ছে। এসব বরদাস্ত করব না।’ হুগলির সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সম্পর্ক উসকে দিতে ভিখারি পাশোয়ান কাণ্ড থেকে সিঙ্গুর আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনেছেন তিনি। মাহেশের জগন্নাথ মন্দিরের উন্নয়নের কথাও উল্লেখ করেন। জয়রামবাটি থেকে ত্রিবেণী ও কালনা হয়ে মোরগ্রামকে সংযুক্ত করে উত্তরবঙ্গে যাওয়ার নয়া রাস্তার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে দাবি করেছেন, ‘আমাদের আরামবাগের মেয়েটিও (প্রার্থী মিতালি বাগ) খুব ভালো। ওকেও সকলে মিলে একটু সাহায্য করবেন।’ শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে নেত্রীর মন্তব্য, ‘ও একাই একশো।’