কাজকর্মে জটিলতা মুক্তি ও কর্মোন্নতি। অপচয়মূলক বা অপ্রত্যাশিত ব্যয় বাড়বে। পারিবারিক ক্ষেত্রে সুসম্পর্ক। ... বিশদ
কলকাতা পুরসভার সাতটি ওয়ার্ড (৬০, ৬১, ৬৪, ৬৫, ৬৮, ৬৯ ও ৮৫ নম্বর ওয়ার্ড) নিয়ে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্র। ভোটার সংখ্যা প্রায় আড়াই লক্ষ। ২০০৬ সাল থেকেই বিধানসভাটি তৃণমূলের দখলে। ওই বছর বিধানসভা নির্বাচনে বাম নেতা রবিন দেবের থেকে আসনটি ছিনিয়ে নেন তৃণমূলের জাভেদ খান। ২০১১ সালে এই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। কলকাতা দক্ষিণ লোকসভার জয়-পরাজয় অনেকটা নির্ভর করে বালিগঞ্জের ফলাফলের উপর।
১৯৯১ সালে কংগ্রেসের টিকিটে এই কেন্দ্র থেকে সাংসদ হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন থেকেই মমতা তথা তাঁর দলের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে আসছে বালিগঞ্জের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ। ১৯৯৮ সালে ‘হাত’ বদলে ‘ঘাসফুল’ হলেও মমতার প্রতি সমর্থনে ভাটা পড়েনি বালিগঞ্জে। তবে লোকসভা হোক বা বিধানসভা, কোনও ক্ষেত্রেই সেই অর্থে ভোট-হিংসার সাক্ষী থাকেনি বালিগঞ্জ। তাহলে এবারের কীসের ভিত্তিতে এই অংশকে ‘স্পর্শকাতর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হল? এনিয়ে বালিগঞ্জের সাধারণ ভোটারদের মধ্যেও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আপাতভাবে দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না, এরকম বেশ কিছু সমস্যা রয়েছে এই এলাকায়। ২০২২-এ এই কেন্দ্রের উপনির্বাচন ও গত পুরসভা নির্বাচনে সেরকম কিছু গোলমালের আভাস মিলেছিল। শাসক দলেরই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চাপানউতোর আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যেই। তবে কারণ, যা-ই হোক না কেন, এখন এই চর্চাই চলছে বালিগঞ্জের আনাচেকানাচে।
কলকাতা পুলিস জানিয়েছে, জেলা নির্বাচনী আধিকারিকের নির্দেশের পর বালিগঞ্জে বিশেষ টহলদারি শুরু হয়ে গিয়েছে। ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাচ্ছে স্থানীয় থানাগুলি। মোতায়েন করা হয়েছে ফ্লাইং স্কোয়াড, স্পেশাল স্কোয়াড। কোথায় কোনও চাপা রাজনৈতিক উত্তেজনা রয়েছে কি না, সে বিষয়ে নজর রাখছেন উর্দিধারীরা। থানার ওসিদের নিয়ে সপ্তাহে দু’বার বিশেষ বৈঠক করছেন উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়া অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে কোমর বাঁধছে প্রশাসন।