রাজ্য

এবার সিবিআইয়ের জেরার মুখে তৃণমূলের বিধায়ক

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: আর জি কর-কাণ্ডে এবার সিবিআইয়ের আতশকাচের তলায় তৃণমূল বিধায়ক তথা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্ত রায়। তরুণী চিকিৎসকের খুন-ধর্ষণ এবং  হাসপাতালের দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের এই বিধায়ককে জিজ্ঞাসাবাদ করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী এজেন্সি। বৃহস্পতিবার সিঁথিতে তাঁর বাড়ি ও নার্সিংহোমে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালান গোয়েন্দারা। সেই সঙ্গে দুর্নীতি মামলায় সন্দীপ ঘোষের পৈতৃক বাড়ি, তাঁর ঘনিষ্ঠ চন্দন লোহাচের আবাসন সহ একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। 
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা নাগাদ সিবিআইয়ের টিম পৌঁছয় সিঁথিতে সুদীপ্ত রায়ের বাড়িতে। অন্য একটি টিম পৌঁছয় শ্রীরামপুরে অবস্থিত বিধায়কের নার্সিংহোমে। আর জি করের তদানীন্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ সিবিআই-কে জানিয়েছেন, তরুণী চিকিৎসকের দেহ পড়ে থাকার খবর পেয়ে তিনিই রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান সুদীপ্তবাবুকে ফোন করেছিলেন। তদন্তে সিবিআই জানতে পারে, সুদীপ্তবাবু সেদিন দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালে ছিলেন এবং সন্দীপের সঙ্গে বৈঠকও করেন। এ প্রসঙ্গে আরও বিস্তারিত জানতেই এদিন তাঁর বাড়িতে হাজির হন তদন্তকারীরা। তাঁর থেকে গোটা ঘটনার বিবরণ নেন তাঁরা। তিনি কী নির্দেশ দিয়েছিলেন এবং তা ঠিকমতো মানা হয়েছিল কি না, জানতে চাওয়া হয়। প্রশ্ন ওঠে, যে তিনজন ডাক্তার ময়না তদন্তের সময় হাজির ছিলেন, তাঁদের কে নিয়োগ করেছিলেন? পরে সুদীপ্তবাবু জানান, দেহ পড়ে থাকার খবর জানাতে কে তাঁকে ফোন করলেন, কখন তিনি হাসপাতালে পৌঁছলেন ইত্যাদি তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তিনি আইন মেনে সবকিছু করতে বলেছিলেন বলে দাবি করেন। সূত্রের খবর, দেহ  পড়ে থাকার খবর কখন বাইরে এসেছিল এবং তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতে কারা কারা উদ্যেগী হয়েছিলেন, সে বিষয়েও তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছে। তাঁর নার্সিংহোমের বিভিন্ন মেশিন কবে কেনা হয়েছে, তার কাগজপত্র পরীক্ষা করা হয়। কারণ, অভিযোগ রয়েছে যে কোভিডের সময় আর জি কর হাসপাতালের জন্য কেনা একটি মেশিন তাঁর নার্সিংহোমে চলে গিয়েছে। সুদীপ্তবাবু বলেন, ‘এই ধরনের কোনও কাজ হয়নি। যে কেউ নার্সিংহোমে গিয়ে তা যাচাই করতে পারেন।’ 
এদিকে, সন্দীপ-ঘনিষ্ঠ চন্দনের বাড়িতে পৌঁছে ইডি তাঁকে দীর্ঘ জেরা করে। কীভাবে তিনি হাসপাতালে কফি শপের বরাত পেলেন, সে বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। ইডির দাবি, অধ্যক্ষ সন্দীপ টাকার বিনিময়ে তাঁকে ওই কফি শপ পাইয়ে দিয়েছিলেন। এছাড়াও নামে-বেনামে একাধিক কোম্পানি রয়েছে চন্দনের। সেই সংস্থাগুলি আর জি করে বিভিন্ন সামগ্রী সরবরাহের বরাত পায় সন্দীপের হাত ধরেই। এখানেও বিপুল দুর্নীতি রয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। দুর্নীতির বিপুল টাকা চন্দন কোথায় রেখেছেন, তার হদিশ পেতে লেনদেনের নথি পরীক্ষা করে দেখে ইডি। বিপুল পরিমাণ টাকার লেনদেন দেখে অবাক ইডি অফিসাররা। ওই টাকার উৎস জানার চেষ্টা চলছে। সেই সঙ্গে মেডিক্যালের বিভিন্ন সরঞ্জাম সরবরাহকারী এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি চলে।
26d ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

ধর্মকর্মে সক্রিয় অংশগ্রহণে মানসিক তৃপ্তি ও সামাজিক সুনাম। পেশাদার শিল্পীদের শুভ সময়।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.১৫ টাকা৮৪.৮৯ টাকা
পাউন্ড১০৮.২৫ টাকা১১১.৮০ টাকা
ইউরো৯০.৭১ টাকা৯৩.৮৮ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা