রাজ্য

প্রত্যন্ত গ্রামের বাড়িতেও এবার বসবে নম্বর

প্রীতেশ বসু, কলকাতা: শহরের সুবিধা এবার মিলবে গ্রামেও। পুরসভা এলাকায় প্রতিটি বাড়ির একটি নির্দিষ্ট হোল্ডিং নম্বর থাকে। কোনও রাস্তা বা এলাকার নামের সামনে ওই নম্বর বসিয়ে নির্দিষ্ট ঠিকানা চিহ্নিত করা হয়। এলাকা চেনেন না, এমন যে কোনও ব্যক্তিও ওই ঠিকানা দেখে খুঁজে নিতে পারেন তাঁর গন্তব্য। গ্রামীণ অঞ্চলে এই সুবিধা নেই। গ্রামে সাধারণত গৃহকর্তা বা কোনও ব্যক্তির নাম ধরেই নির্দিষ্ট ঠিকানা খুঁজে নিতে হয়। কোনও গ্রামে একই নামে একাধিক ব্যক্তি থাকলে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অবকাশ থাকে যথেষ্ট। এমন সমস্যার দিন শেষ হতে চলেছে শীঘ্রই। কারণ, রাজ্যের তরফে গ্রামীণ এলাকার প্রত্যেক বাড়ির জন্য ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন বা অ্যাসেসি নম্বর দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই নম্বরের ভিত্তিতে গ্রামাঞ্চলের প্রত্যেক বাড়ির নির্দিষ্ট ঠিকানা চালু করা হবে।  
স্মার্ট পঞ্চায়েত গঠনের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার একাধিক পদক্ষেপ করে চলেছে। তারই অঙ্গ হিসেবে গ্রামীণ এলাকার প্রত্যেক বাড়ির ইউনিক আইডি বা অ্যাসেসি নম্বর দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কীভাবে দেওয়া হবে এই ইউনিক আইডি? দেশের প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি নির্দিষ্ট লোকাল গভর্নমেন্ট ডাইরেক্টরি (এলজিডি) কোড রয়েছে। এই কোড বসিয়ে প্রতিটি বাড়ির জন্য একটি করে নম্বর ব্যবহার করলেই তৈরি হয়ে যাবে ইউনিক অ্যাসেসি নম্বর। প্রতিটি নম্বর হবে ১০ ডিজিটের। রাজ্যের এক আধিকারিক বলেন, ‘এটি প্রাথমিক পদক্ষেপ। নিয়মে কিছু পরিবর্তন এনে শহরের ধাঁচে গ্রামেও প্রত্যেক বাড়ির হোল্ডিং নম্বর চালুর পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সেক্ষেত্রে গ্রামের নামের আগে বসবে বাড়ির জন্য রাজ্যের নির্ধারিত নম্বর।’ এ বিষয়ে পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য স্মার্ট পঞ্চায়েত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সেই কাজই চলছে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে মানুষের জন্য আরও কী কী সুবিধা নিশ্চিত করা যায়, অনবরত চলছে সেই ভাবনা। এটিও তেমনই একটি পদক্ষেপ।’ 
সম্পূর্ণ অনলাইন মাধ্যমে বিল্ডিং প্ল্যানের ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য তোড়জোড় শুরু করেছে পঞ্চায়েত দপ্তর। বদল আনা হচ্ছে রুরাল বিল্ডিং রুলসে। আগামী দিনে বিল্ডিং প্ল্যানের অনুমোদন থেকে শুরু করে ট্রেড লাইসেন্স, সম্পত্তি কর সহ সমস্ত কাজেই বাড়ির এই ইউনিক অ্যাসেসি নম্বর কাজে লাগবে বলে মত রাজ্যের পদস্থ আধিকারিকদের। শুধু তাই নয়, জমি-বাড়ি রেজিস্ট্রেশনের দায়িত্বে থাকা আইজিআর এবং রাজ্যের ভূমিসংস্কার দপ্তরের তথ্যের সঙ্গে এই অ্যাসেসি নম্বর সংযুক্তিকরণের পরিকল্পনা রয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তরের। সেক্ষেত্রে জমি-বাড়ির মালিকানা সংক্রান্ত ‘রিয়েল টাইম’ তথ্য থাকবে প্রত্যেকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতে। কোথাও জমি-বাড়ি কেনার সময় ক্রেতা এই অ্যাসেসি নম্বর দিয়ে নির্দিষ্ট পোর্টালে খোঁজ করলেই জেনে নিতে পারবেন সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। 
সূত্রের খবর, গ্রামাঞ্চলে ইউনিক অ্যাসেসি নম্বর চালু করার জন্য ইতিমধ্যে প্রশাসনিক স্তরে প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। দুর্গাপুজোর পরেই পঞ্চায়েতের কাজকর্ম সংক্রান্ত একগুচ্ছ অনলাইন পরিষেবা চালুর পরিকল্পনা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধায়ের সরকারের। সবকিছু ঠিকঠাক চললে ২০২৫ সালের শুরুর দিকেই গ্রামাঞ্চলে বাড়ির অ্যাসেসি নম্বর দেওয়ার কাজ চালু হবে। 
1Month ago
কলকাতা
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

বিদ্যা শিক্ষা ও কাজকর্মে দিনটি শুভ। বন্ধুসঙ্গে বিপদ হতে পারে। অধ্যাপনায় অগ্রগতি।...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৩.২৪ টাকা৮৪.৯৮ টাকা
পাউন্ড১০৭.৮৯ টাকা১১১.৮৫ টাকা
ইউরো৮৯.৯১ টাকা৯৩.৪৯ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা