বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
কলকাতা

চ্যানেল করতে ১৫০ টাকা, ট্রলি খুঁজে দিতে ১০০, অনিয়মের নানা ‘রেট’ হাসপাতালে

নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: ‘ওষুধ, ইঞ্জেকশন, চিকিৎসা—সবই তো দিদি ফ্রি করে দিয়েছেন। কিন্তু বাস্তবে ডাক্তারদের ভিজিটটুকু বাদ দিলে আর কী ফ্রি বলতে পারেন? পদে পদে টাকা, কথায় কথায় হাত এগিয়ে দিচ্ছে।’ রীতিমতো ঝাঁঝিয়ে উঠলেন শান্টু। শান্টু মণ্ডল। বাড়ি বসিরহাটে। আর জি কর হাসপাতালের ইমার্জেন্সি বাড়ির মেডিসিন বিভাগে ভর্তি আছেন তাঁর বাবা। কিডনির অসুখ তাঁর। শান্টুর অভিযোগ, ‘নার্সরা চ্যানেল করতে চান না। কিন্তু চ্যানেল তো করতেই হবে। এই অসহায়তার সুযোগ নিয়ে এক-একবার চ্যানেল করতে ১৫০ টাকা করে নিয়ে নিচ্ছেন আয়ারা!’
আর জি করের ইমার্জেন্সি লাগোয়া অভয়া মঞ্চের পিছনদিকে কাগজ বিছিয়ে বসে আছেন বাড়ির লোকজন। নাম না প্রকাশের শর্তে মুখ খুললেন দুই মহিলা। বয়স্ক একজন বললেন, ‘ট্রমা বাড়ির উল্টোদিকে ট্রলি রাখার সিস্টেম আছে। সেখান থেকে আউটডোর, ট্রমায় ট্রলি নেওয়া নিয়ম মেনেই হয়। কিন্তু একটিবার ইনডোরে আপনার বাড়ির লোক থাকুক না, হাড়ে হাড়ে টের পাবেন, হুজ্জতি কাকে বলে!’ কেমন হুজ্জতি? ‘ইনডোরে মাথা কুটে ফেললেও ট্রলি পাবেন না, যদি না পয়সা দেন। ওয়ার্ডবয়দের টাকা দিলেই ঠিক যেন উড়ে এসে সামনে হাজির হবে ট্রলি। সে ট্রলি অবশ্য‌ ঠেলতে হবে আপনাকেই।’ কত টাকা চায়? পাশ থেকে শান্টু বলে উঠলেন, ‘১০০ টাকা দিতেই হবে। তবেই পাবেন ট্রলি।’ 
প্রসঙ্গত, আর জি কর-এর এই ক্যাজুয়ালিটি ব্লক বা ইমার্জেন্সি বাড়ি অভয়া কাণ্ডের পর থেকে সংবাদ শিরোনামে। জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের পর হাসপাতালজুড়ে ৫৩২টি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। আর জি কর-এর সবচেয়ে বেশি রোগীর চিকিৎসা হয় এই জায়গায়। সেখানে নতুন করে ৪৭৮টি সিসি ক্যামেরা লাগানোর কথা। তদন্তের কারণে তার একটিও এখনও লাগানো হয়নি। অভিযোগ, সেই সুযোগে ওয়ার্ডবয়, আয়াদের একাংশ অন্যায় আবদার চাপাচ্ছে গরিব, নিম্নবিত্ত রোগীর পরিবারের লোকজনের উপর। ট্রলি ভোগান্তির আর এক জায়গা কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। ইমার্জেন্সিতে রোগী আনলে কখনও পাঁজাকোলা করে, কখনও আবার প্রিয়জনের কাঁধে ভর দিয়ে তাঁকে ভিতরে নিয়ে যেতে হয়। কারণ, ট্রলি মেলে না। তবে ট্রলি ‘খুঁজে দেওয়া’র লোক আশপাশেই ঘুরঘুর করছে। এখানেও ‘ফেল কড়ি মাখ তেল’ সিস্টেম। পিজি হাসপাতালে শুধু ট্রলি নিয়ে যাওয়ার জন্য ট্রলি বয় সিস্টেম চালু হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ, তাঁদের অনেকেও সময়সুযোগ বুঝে হাত এগিয়ে দেন। রাজ্যের এক মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ বলেন, ‘অবিলম্বে ট্রলি বয় ব্যবস্থা চালু হোক। বাড়ির লোকজনকেও বলব, ট্রলি ব্যবহারের পর সেটা যেখানে ছিল, সেখানেই রাখুন। তা নাহলে বিপদের সময় ট্রলি মিলবে না।’
      
অনিয়মের রেট চার্ট
ট্রলি খুঁজে দেওয়া—১০০-২০০ টাকা
ট্রলি ঠেলা—১০০/২০০ টাকা
চ্যানেল করা/খোলা—১৫০-২০০ টাকা
ক্যাথিটার পাল্টানো—৩০০-৩৫০ টাকা
ওটি থেকে ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া—৫০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা
লেবার ওটি থেকে মাকে ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া—১৫০-২০০ টাকা (ঝোপ বুঝে বড় কোপ)
সূত্র: স্বাস্থ্যদপ্তর ও শহরের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজ
12d ago
রাজ্য
দেশ
বিদেশ
খেলা
বিনোদন
ব্ল্যাকবোর্ড
শরীর ও স্বাস্থ্য
বিশেষ নিবন্ধ
সিনেমা
প্রচ্ছদ নিবন্ধ
আজকের দিনে
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
mesh

কারও কাছ থেকে কোনও দামি উপহার লাভ হতে পারে। অকারণ বিবাদ বিতর্ক এড়িয়ে চলুন। স্বাস্থ্য...

বিশদ...

এখনকার দর
ক্রয়মূল্যবিক্রয়মূল্য
ডলার৮৬.১৮ টাকা৮৭.৯২ টাকা
পাউন্ড১০৬.২৮ টাকা১১০.০২ টাকা
ইউরো৮৮.১৫ টাকা৯১.৫১ টাকা
[ স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া থেকে পাওয়া দর ]
*১০ লক্ষ টাকা কম লেনদেনের ক্ষেত্রে
দিন পঞ্জিকা