বর্তমান পত্রিকা : Bartaman Patrika | West Bengal's frontliner Newspaper | Latest Bengali News, এই মুহূর্তে বাংলা খবর
রাজ্য
 

এসএসসি নিয়োগ তদন্ত ২ মাসের মধ্যে শেষ করুন, সিবিআইকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সময় আর ৬০ দিন। আগামী দু’মাসের মধ্যেই শেষ করতে হবে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত। বৃহস্পতিবার সিবিআইকে স্পষ্টভাষায় নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। এখানেই শেষ নয়, সেই তদন্তের রিপোর্ট দেখে আগামী ছ’মাসের মধ্যে মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে কলকাতা হাইকোর্টকে। আর ততদিন পর্যন্ত কারও চাকরি যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ, বহাল থাকবে শীর্ষ আদালতের অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। এদিনের শুনানি শেষে একথা সাফ জানিয়ে দিল বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদির বেঞ্চ। নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গড়িমসি নিয়ে এর আগেও আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। খোদ কলকাতা হাইকোর্ট গত মাসে ইডিকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে—তদন্ত অনন্তকাল চলতে পারে না। আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত শেষ করুন। এবার সুপ্রিম কোর্টও এসএসসি মামলায় একইভাবে চূড়ান্ত সময়সীমা ধার্য করল সিবিআইয়ের জন্য।
২০১৭ সালে এসএসসির মাধ্যমে গ্রুপ সি, গ্রুপ ডি কর্মীদের পাশাপাশি নবম-দশমের সহকারী শিক্ষকদের নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সেই মামলায় নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আসেন চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের  একাংশ। তারপরই শীর্ষ আদালত জারি করে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। তা বহাল থাকায় অভিযুক্তদের নিয়োগ এখনই বাতিল হচ্ছে না। কিন্তু বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদির বেঞ্চ এদিন জানিয়েছে, সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি করতে হবে কলকাতা হাইকোর্টকে। তার জন্য উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতি গঠন করবেন দু‌ই সদস্যের বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ। সেখানেই ছ’মাসের মামলার নিষ্পত্তি করতে হবে আগামী ছ’মাসের মধ্যে। আর সেই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত একাদশ-দ্বাদশের সহকারী শিক্ষকদের ওএমআর বা অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন শিট প্রকাশ করা যাবে না। 
এসএসসির মাধ্যমে হওয়া চাকরি বাতিল, ওএমআর শিট সংক্রান্ত ২১টি মামলার একত্রে শুনানি ছিল এদিন।  চাকরি না পাওয়া প্রার্থীদের পক্ষে এদিন সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। শীর্ষ আদালতের স্থগিতাদেশের নির্দেশ বাতিলের প্রবল চেষ্টা চালান তিনি। এমনকী ছ’মাস সময়সীমার বিষয়টি কমানোর দাবিও করেন। বিরোধিতা করেন চাকরি হারানোদের আইনজীবী পি এস পাটওয়ালিয়া, পার্থপ্রতিম দেববর্মন। তাঁদের দাবি, ‘পাঁচ বছর চাকরি করার পরেও কীভাবে নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ তোলা যায়?’ তাঁদের সমর্থন করেন এসএসসির আইনজীবী কুণাল চট্টোপাধ্যায়। সিবিআইয়ের আ‌ইনজীবী এস ভি রাজুও আদালতে বলেন, ‘আমাদের টার্গেট চাকরিপ্রার্থীরা নয়। কোনও আধিকারিক বেআইনিভাবে চাকরি দিয়েছেন কি না, সেটাই তদন্ত করছি।’ সওয়াল জবাব শেষে বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদি সাফ বলেন, ‘এভাবে একলপ্তে এতজনের চাকরি বাতিল করা যায় না। আমাদের স্থগিতাদেশের যে নির্দেশ রয়েছে, তা বজায় থাকবে।’

10th     November,   2023
 
 
অক্ষয় তৃতীয়া ১৪৩১
 
কলকাতা
 
দেশ
 
বিদেশ
 
খেলা
 
বিনোদন
 
আজকের দিনে
 
রাশিফল ও প্রতিকার
ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়
এখনকার দর
দিন পঞ্জিকা
 
শরীর ও স্বাস্থ্য
 
বিশেষ নিবন্ধ
 
সিনেমা
 
প্রচ্ছদ নিবন্ধ