শত্রু বৃদ্ধি হলেও কর্মে উন্নতি ও কর্মস্থলে প্রশংসা লাভ। অর্থকর্মে উন্নতি হবে। সন্তানের ভবিষ্যৎ উচ্চ ... বিশদ
১৯৪০ সাল। সাংগঠনিক প্রয়োজনে বাঁকুড়ায় এসেছেন সুভাষচন্দ্র। সেখানকার অমরকাননে দেশপ্রেমিক গোবিন্দপ্রসাদ সিংহের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তারপর গঙ্গাজলঘাটিতে একটি জনসভা করেন। সভার অতিথিদের বসার জন্য আয়োজকরা আশপাশের দোকান থেকে আসবাবপত্র জোগাড় করেছিলেন। কিন্তু, সভায় যে ‘দেশনায়ক’ এসেছেন। তাঁকে কি আর সাধারণ চেয়ারে বসতে দেওয়া যায়! তাই সুভাষচন্দ্রের জন্য বন্দোবস্ত করা হয় খাস সোফার। তবে মহামানব নেতাজি সেই বিশেষ সোফা প্রত্যাখান করলেন। বসলেন বাকিদের জন্য বরাদ্দ করা সাধারণ কাঠের চেয়ারে। সভায় রক্ত গরম করা বক্তৃতা দিয়ে নেতাজি চলে যান রামহরিপুর হয়ে বেলিয়াতোড়ের দিকে। সেদিনের সভায় যে চেয়ারটিতে তিনি বসেছিলেন, সেটি আনা হয়েছিল স্থানীয় চিকিৎসক রামরূপ কর্মকারের চেম্বার থেকে। সভা শেষে সেটিকে মাথায় করে বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনার পর কেটে গিয়েছে দীর্ঘ আট দশক। কালের নিয়মেই মৃত্যু হয়েছে রামরূপ কর্মকারের। কিন্তু নেতাজির স্পর্শ পাওয়া সেই চেয়ার আজও রয়েছে পরিবারের ঠাকুরঘরেই। প্রতিদিন সেটিকে ফুল দিয়ে পরিবারের সদস্যরা সাজিয়ে তোলেন। দেখতে আসে বহু মানুষ। বাইরে যাওয়ার আগে পরিবারের সকলেই দেব-দেবীর পাশাপাশি প্রণাম করেন বীরযোদ্ধা সুভাষচন্দ্রকে।