দীর্ঘ ১৮ বছরের বৈবাহিক জীবনে ইতি টানলেন দক্ষিণী সুপারস্টার ধনুষ ও তাঁর স্ত্রী ঐশ্বর্য রজনীকান্ত। সোমবার রাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে এই হেভিওয়েট দম্পতি তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে এনেছেন। ধনুষ লিখেছেন, ‘আঠারো বছর একসঙ্গে কাটানোর এই সফর খুবই ভালো ছিল। কিন্তু আজ আমাদের দু’জনের পথ আলাদা। ঐশ্বর্য ও আমি দম্পতি হিসেবে আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। স্বাধীনভাবে নিজেদের বোঝার জন্য একটু সময় চেয়েছি।’ তাঁদের এই সিদ্ধান্ত যাতে মানুষ বোঝার চেষ্টা করেন এবং তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনকে সম্মান করেন, পোস্টে সেই অনুরোধও করেছেন থালাইভার জামাই। ২০০৪ সালে ধনুষ ও ঐশ্বর্যর বিয়ে হয়। দম্পতির দুই ছেলে রয়েছে। 
এদিকে ধনুষ-ঐশ্বর্যর বিবাহবিচ্ছেদের খবর প্রকাশ্যে আসতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের একাংশ অবাক। এত বছরে দাম্পত্য কলহের কথা কেউ বুঝতে পারেননি। ঐশ্বর্যের একটি পোস্টও এদিন ভাইরাল হয়েছে। ধনুষের স্ত্রী ওই পোস্টটি করেছিলেন গত বছর অক্টোবরে ৬৭তম জাতীয় পুরস্কার প্রদানের দিন। উল্লেখ্য, সেদিন দাদাসাহেব ফালকে সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন রজনীকান্ত। ‘অসুরণ’ ছবির জন্য সেরা অভিনেতার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন ধনুষ। বাবা ও স্বামীর জাতীয় পুরস্কার হাতে ছবি পোস্ট করে নিজেকে ‘গর্বিত স্ত্রী’ বলেছিলেন ঐশ্বর্য। সেই কথা মনে করিয়ে দিয়ে নেটমাধ্যমে অনেকেই জানতে চেয়েছেন, মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে কী এমন ঘটল!  
অন্যদিকে, এইদিন বি আর চোপড়ার ‘মহাভারত’ ধারাবাহিকের কৃষ্ণের চরিত্রাভিনেতা নীতীশ ভরদ্বাজ ও তাঁর স্ত্রী স্মিতা বিয়ের ১২ বছর পর বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নীতীশ জানিয়েছেন, দু’বছর আগে আলাদা থাকা শুরু করেন তাঁরা। তারপরেই বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেন তিনি।