শত্রু বৃদ্ধি হলেও কর্মে উন্নতি ও কর্মস্থলে প্রশংসা লাভ। অর্থকর্মে উন্নতি হবে। সন্তানের ভবিষ্যৎ উচ্চ ... বিশদ
গত সপ্তাহেই ময়নাগুড়িতে লাইন থেকে ছিটকে যায় বিকানির-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় হতাহতও হন অনেকে। সবথেকে বড় কথা, উত্তরবঙ্গের এই রেল বিপর্যয় আদতে ট্রেনের যাত্রী সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিয়ে রেলমন্ত্রকের নিয়মিত বাগাড়ম্বরের মুখেই একপ্রকার ঝামা ঘষে দিয়েছে। অন্তত এমনটাই মনে করছে তথ্যাভিজ্ঞ মহল। সেই কারণেই বিষয়টি নিয়েই তৎপরতা দেখাতে উদ্যোগী হয়েছে রেলমন্ত্রক। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান, রেলের ডিরেক্টর জেনারেল সেফটির মতো উচ্চ পদস্থ আধিকারিকরা ছাড়াও দুর্ঘটনার পরেই অকুস্থলে ছুটে গিয়েছেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব স্বয়ং। এর পরিপ্রেক্ষিতেই রেল বোর্ডকে আলাদাভাবে তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশকে রীতিমতো তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটির পাশাপাশি রেল বোর্ডের এই অভ্যন্তরীণ ও সমান্তরাল তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে আপাতত মুখে কুলুপ এঁটেছেন রেলমন্ত্রকের শীর্ষ আধিকারিকরা।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে রেলমন্ত্রী প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিলেন যে ইঞ্জিনের ত্রুটির কারণেই এটি ঘটে থাকতে পারে। রেল সূত্রের খবর, গাফিলতি ঠিক কোন পর্যায়ে ছিল, এক্ষেত্রে সত্যিই ট্র্যাকের কোনও সমস্যা ছিল কি না, কোনও ব্যক্তিবিশেষের ভুলে এতবড় দুর্ঘটনা ঘটেছে কি না, তার সবই রিপোর্টে উল্লেখ করতে বলা হয়েছে রেল বোর্ডকে। খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটির ইঞ্জিন সঠিকভাবে পরীক্ষা করা হয়েছিল কি না। এক মাসের মাথায় প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করার কথা কমিশনার অব রেলওয়ে সেফটির। দুর্ঘটনা নিয়ে সবিস্তার রিপোর্ট সিআরএস পেশ করবে তিন মাসের মধ্যে। এই পরিস্থিতির মধ্যেই বুধবার সব জোনের আধিকারিকদের নিয়ে রেলমন্ত্রক বৈঠক করেছে বলে খবর।