শত্রু বৃদ্ধি হলেও কর্মে উন্নতি ও কর্মস্থলে প্রশংসা লাভ। অর্থকর্মে উন্নতি হবে। সন্তানের ভবিষ্যৎ উচ্চ ... বিশদ
ডিসি(পশ্চিম) অভিষেক মোদি বলেন, একটি শ্যুটআউটের ঘটনা হয়েছে। আমরা ঘটনার সবদিক খতিয়ে দেখছি। কে খুন করল, কীভাবে অস্ত্র পেল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
আসানসোল হয়ে নিয়ামতপুর থেকে দিশেরগড় যাওয়ার পথে বাঁধনামো গ্রাম। গ্রামের অদূরে একটি ফুটবল মাঠের পাশে কিছু ছোট ফ্যাক্টরি রয়েছে। ফাঁকা মাঠে গজিয়ে উঠেছে একাধিক ঝুপড়ি দোকান। সেখানে আদিবাসীদের দেশি মদ (মাড়ি) পাওয়া যায়। এদিন সকালে অন্যদিনের মতো দোকানে বসেছিলেন পরেশ মারাণ্ডি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় সাড়ে ৯টা নাগাদ জ্যাকেট ও মাস্ক পরে দোকানে আসে একজন। দোকানদারের কাছে মদ চায়। দোকানদার অন্যদিকে যেতেই বাঁশের মাচায় বসে থাকা পরেশবাবুকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় সে। সেখানেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঘটনার পরে এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সেই সময় দুষ্কৃতীকে একজনকে ধরার চেষ্টা করলেও পিস্তল দেখিয়ে তাঁকে সরিয়ে দেয়। ঘটনাস্থলে পুলিস এসে দেহ উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
এই ঘটনার পর আদিবাসী লোকজন এলাকায় ভিড় জমাতে থাকেন। তৃণমূল, বিজেপি সব রাজনৈতিক দলের নেতৃত্বই এলাকায় হাজির হয়। এরপরই আদিবাসীরা এই খুনের প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, কুলটি থানা এলাকার এক আদিবাসী বুধি মারাণ্ডি কিছুদিন আগে নিখোঁজ হয়ে যান। দু’দিন আগে দামোদরে তাঁর ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তারপর আবার আদিবাসী খুন হল। এনিয়ে গ্রামে আলোচনায় বসে আদিবাসীরা। তারপর তুলসিহীড় মোড়ে জড়ো হন আদিবাসী সমাজের পুরুষ, মহিলা থেকে নাবালকরাও। ধামসা বাজিয়ে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়। রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ফেলে, মহিলারা রাস্তার উপর বসে আন্দোলন শুরু করেন। তির ধনুক, কুড়ুল, কাস্তে, লাঠি হাতে আদিবাসীরা পথচারীদের আটকে দেয়। বেলা একটা ২০ থেকে অবরোধ চলতে থাকে।
পুরুলিয়া যাওয়ার মূল রাস্তার উপর এই অবরোধের জেরে সমস্ত যানবাহন আটকে পড়ে। দূর-দূরান্তের যাত্রীরা ঘণ্টার পর ঘণ্টা অবরোধে আটকে পড়েন। বহু যাত্রীকে হেঁটে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে দেখা যায়। আদিবাসীদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেন উচ্চপদস্থ পুলিস অফিসাররা। বিকেল সাড়ে ৪টে নাগাদ অবরোধ ওঠে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত পরেশবাবু আগে ইসিএলের কর্মী ছিলেন। দীর্ঘদিন অনুপস্থিত থাকায় তাঁর কাজ চলে যায়। পরিবারে স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলে থাকলেও তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না। কেন তাঁকে খুন করা হল তা খতিয়ে দেখছে পুলিস।