শত্রু বৃদ্ধি হলেও কর্মে উন্নতি ও কর্মস্থলে প্রশংসা লাভ। অর্থকর্মে উন্নতি হবে। সন্তানের ভবিষ্যৎ উচ্চ ... বিশদ
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের মালদহ ডিভিশনের প্রজেক্ট ডিরেক্টর (পিডি) দীনেশ হানসারিয়া বলেন, নির্মাণকাজ দ্রুততার সঙ্গে চলছে। এখন একটি ব্রিজ ও সামান্য কিছু কাজ বাকি। মার্চের মধ্যেই কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। এর আগে বলা হয়েছিল, জানুয়ারির শেষের দিকে কাজ শেষ হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনার জেরে কাজ ব্যাহত হয়েছে। সেই সঙ্গে দু’মাস ফ্লাই অ্যাশ আসা বন্ধ ছিল। সেজন্য কাজ সময়ে শেষ হয়নি। আর কাজে ব্যঘাত না ঘটলে মার্চের মধ্যে অবশ্যই কাজ শেষ হবে।
ডালখোলা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান তনয় দে বলেন, আমরাও চাই বাইপাসের কাজ দ্রুত শেষ হোক। এ বিষয়ে প্রশাসনকেও জানানো হয়েছে। আগামী সপ্তাহে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে বসা হবে। সেখানে ফের দাবি করা হবে, যাতে কাজ দ্রুত শেষ হয়। বাইপাসের সঙ্গে কিছু সার্ভিস রোডের প্রয়োজন। এনিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ মহম্মদপুর এলাকা থেকে পূর্ণিয়মোড় পর্যন্ত সাড়ে ৫ কিমি বাইপাস তৈরি হচ্ছে। বেশিরভাগ কাজ হয়ে গিয়েছে। মহম্মদপুর এলাকায় ব্রিজের সঙ্গে জাতীয় সড়কের সংযোগের কাজ চলছে। বুড়ি মহানন্দা নদীর উপর একটি ব্রিজের কাজ চলছে। এই দু’টি কাজ শেষ হলেই নির্মাণকাজ শেষ হবে।
বিগত বাম সরকারের আমলে বাইপাস প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। কিন্তু কাজ এগয়নি। প্রয়াত কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির উদ্যোগে কিছুটা পথ এগিয়েছিল। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর কাজের প্রক্রিয়া শুরু হয়। তারপরও কখনও জমিজট, কখনও টেন্ডার জটিলতা, কখনও বা রেলের সঙ্গে কো-অর্ডিনেশনের অভাব, বিভিন্ন কারণে দু’দশকেও নির্মাণকাজ শেষ হয়নি।
উত্তর দিনাজপুর জেলার বাণিজ্যনগরী বলে পরিচিত ডালখোলা শহরে যানজট নিত্যদিনের সমস্যা। শহরের লাইফ লাইন ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি শহরের মধ্যে সরু। রাস্তার দু’পাশে চলাচলের জায়গা নেই বললেই চলে। রাস্তার উপর রয়েছে রেলগেট। ঘন ঘন রেলগেট বন্ধ হয়।
এখানে রয়েছে রেলের রেক পয়েন্ট। ফলে অনেক সময় দীর্ঘক্ষণ রেলগেট বন্ধ থাকে। এর ফলে বহু যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকে। দাঁড়িয়ে থাকা যানবাহনের লম্বা লাইন পড়ে। এরই মধ্যে আগে যাওয়ার প্রতিযোগিতায় অনেকেই ওভারটেক করে। ফলে যানজট আরও তীব্র আকার নেয়। সরু এই রাস্তায় যানবাহন বিকল হয়ে পড়লে একদিকের পথ বন্ধ হয়ে যায়। সেসময় যানজট আরও ভয়ানক আকার নেয়। শহরের সাড়ে ৫ কিমি রাস্তা পার হতে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে যায়। যানজটের ফলে ব্যবসায়ীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হন। সকলেরই দাবি বাইপাস নির্মাণ দ্রুত শেষ হোক।