শত্রু বৃদ্ধি হলেও কর্মে উন্নতি ও কর্মস্থলে প্রশংসা লাভ। অর্থকর্মে উন্নতি হবে। সন্তানের ভবিষ্যৎ উচ্চ ... বিশদ
মাত্র চার বছর বয়সে ম্যারিকে কিনে এনেছিলেন সার্কাস কোম্পানির মালিক চার্লি স্পার্কসের বাবা। দিব্যি খেলাও দেখাত। বিপত্তি বাধে টেনেসি প্রদেশের কিংসপোর্ট এলাকার একটি শোতে। খেলা চলাকালীন একটা তরমুজ চোখে পড়ে তার। ব্যস, কেটে যায় শোয়ের ছন্দ। পরিস্থিতি সামাল দেওয়া চেষ্টা করেন ম্যারির দেখভালের দায়িত্বে সদ্য নিযুক্ত ‘আন্ডার কিপার’ রেড। লাভ হয়নি। অগত্যা লোহার হুক দিয়ে ম্যারির মাথায় ও কানে আঘাত করতে থাকেন রেড। ধৈর্যচ্যুতি ঘটে হাতিটির। শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে মাটিতে আছাড় দেয় রেডকে। তারপর পা দিয়ে পিষে দেয় তাঁর মাথা। মুহূর্তের মধ্যে ভিলেন হয়ে ওঠে সবার প্রিয় ম্যারি। খুনি হাতির ফাঁসির দাবিতে সরব হয় তার ফ্যানেরাও। হয় প্রচুর লেখালেখি। তারপরেই রীতিমতো মঞ্চ বেঁধে ফাঁসিতে ঝোলানো হয় হাতিটিকে। আনা হয় ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্রেন। ক্রেনের শিকল বেঁধে দেওয়া হল হাতির গলায়। প্রায় পাঁচ টন ওজনের ম্যারিকে বিশ ফুট উঁচুতে তুলতেই ক্রেনের তার ছিঁড়ে যায়। মাটিতে আছড়ে পড়ার পর আর দাঁড়াতে পারেনি ম্যারি। পোষ্যের কষ্ট দেখে নিজেকে ধরে রাখতে পারেননি চার্লি। হাতজোড় করে জখম ম্যারিকে ছেড়ে দেওয়ার আর্জি জানালেন। তাতে কী! হাতির ফাঁসি চেয়ে গর্জে উঠল জনতা। অর্ধমৃত ম্যারিকে ফের পরানো হল শিকল। ছটফট করতে করতে মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়ল ‘অপরাধী’।