শত্রু বৃদ্ধি হলেও কর্মে উন্নতি ও কর্মস্থলে প্রশংসা লাভ। অর্থকর্মে উন্নতি হবে। সন্তানের ভবিষ্যৎ উচ্চ ... বিশদ
এভাবেই অগ্রহায়ণের সংক্রান্তি থেকে শুরু হয়েছে টুসু বন্দনা। চলবে একমাস। মকর সংক্রান্তিতে টুসুকে ঘিরে সাবেক মানভূমবাসী মেতে উঠবেন প্রাণের উৎসবে। ভিড় জমবে কংসাবতী, কুমারী, শিলাবতী, টটকো, নেংসাই, দ্বারকেশ্বরের পাড়ে। পৌষ সংক্রান্তির আগের দিন উপোস করেন মহিলারা। রাত জেগে চলে টুসু আরাধনা। ঝুমুর নাচ পরিবেশন করেন আদিবাসী শিল্পীরা। ঘরে ঘরে হয় পিঠে পুলি। পরদিন ভোরে রঙিন কাগজে সজ্জিত চৌডল বা চতুর্দোলায় বসিয়ে আলপথ ধরে নিয়ে যাওয়া হবে টুসুকে। ফসলের দেবী হলেও টুসুর কাছেই গানে গানে সুখ-দুঃখের কথা তুলে ধরেন রাঙামাটির মেয়ে-বৌয়েরা। টুসু ভাসানের পথে চলে গানের লড়াই। ‘হামাদের টুসু মুড়ি ভাজে সাত কপাটের ভিতরি/ তোদের টুসু জংলি মাসি আঁচল পেতে লয় মুড়ি।’ এমন গান উপভোগ করে আম জনতা। দেবী থেকে কখন যেন ঘরের মেয়ে হয়ে ওঠে টুসু। তাকে নিয়ে কত ভাবনা। ‘আমার টুসু দখিন যাবে/ খিদা পেলে খাবে কি! আন গো টুসুর গায়ের গামছা/ বেঁধে দিই জিলাপি।’ একজনের টুসুর সঙ্গে অন্যের টুসুর বিয়ে হয়। উভয়েই মেয়ে। কিন্তু তাতে কী! বরের মা ‘পণ’ দেয় কনের মাকে। বছর যায়। বছর আসে। মোড়ক বদলায় পরবের। কিন্তু টুসুকে ঘিরে অমলিন থেকে যায় উন্মাদনা।