২৩ জানুয়ারি তাঁরও জন্মদিন। শুধু জন্মদিন নয়, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যও কাকতালীয়ভাবে মিলে যায় সাংবাদিক বরুণ সেনগুপ্তের সঙ্গে। সেসবের কথা বলতে গেলে প্রথমেই সহকর্মীদের মনে পড়ে যায় তাঁর রসনা-প্রীতির নানান কাহিনি। ফি রবিবার বিকেলে ‘বর্তমান’-এর দপ্তরে মুড়ি-চপের আসরের কথা সর্বজনবিদিত। তার প্রধান কারণই ছিল বরুণবাবুর নিখাদ তেলেভাজা-প্রেম। একটা বিষয় অবশ্য অনেকেরই অজানা—নেতাজির প্রিয় লক্ষ্মীনারায়ণ সাউয়ের তেলেভাজার প্রতি তাঁর বিশেষ টান। অন্যান্য পুরনো দোকানের চপ যে বরুণবাবুর পছন্দ ছিল না, তা নয়। কিন্তু বিধান সরণির বিখ্যাত দোকানটির প্রতি ছিল বিশেষ পক্ষপাতিত্ব। কারণটা আর কিছুই নয়, এখানেই মিলত তাঁর সবথেকে প্রিয় তেলেভাজাটি, পলতা পাতার বড়া।
বাজার করতেও ভীষণ ভালোবাসতেন বরুণবাবু। রাজ্যের কোথায় কোন সব্জি-মাছ ভালো এবং সস্তায় পাওয়া যায়, সব ছিল তাঁর নখদর্পণে। পটোল লতা ছিল তাঁর বিশেষ পছন্দের। আম বাঙালি অবশ্য সেটাকে চেনে পলতা পাতা নামে। তিতকুটে হলেও এর গুণাগুণ অনেক। তাই তেলেভাজা হিসেবেও সেটি খেতে ভালোবাসতেন। জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তাঁর তেলেভাজা-প্রীতি ছিল অটুট। প্রয়াণের কয়েকদিন আগেও ফরমায়েশ মেনে এনে দিতে হয়েছিল পলতা পাতার বড়া। সেই বিধান সরণির বিখ্যাত দোকান থেকেই।