বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
রাজ্য কৃষি উপকরণ কল্যাণ সমিতির সহ সভাপতি স্বপন চক্রবর্তী বলেন, গ্রামাঞ্চলের কৃষকরা সার ব্যবসায়ীদের কাছে গিয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ নেন। ব্যবসায়ীরা তাঁদের সারের গুণগত মান নিয়ে বোঝান এবং অধিক ফলের গ্যারান্টিও দেন। সেকারণে কৃষকরা সেদিকেই ঝোঁকেন। এক্ষেত্রে কৃষিদপ্তরকে আরও সক্রিয়ভাবে মাঠেময়দানে যেতে হবে।
তৃণমূল কিষাণ খেত মজুর সংগঠনের দক্ষিণ দিনাজপুরের জেলার সভাপতি মফিজউদ্দিন মিঁয়া বলেন, আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে কৃষকদের জৈব পদ্ধতি ব্যবহার করে চাষাবাদ করতে পরামর্শ দিয়ে থাকি। জমিতে ক্রমাগত রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে পরবর্তীতে কি সমস্যা হতে পারে তা জানানোও হয়। কিন্তু অধিক ফলনের আশায় তাঁরা আমাদের কথা সবসময়ে শোনেন না। আমরা এবিষয়ে জেলাজুড়ে আরও বেশি করে প্রচারে নামব।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কৃষি আধিকারিক জ্যোতির্ময় বিশ্বাস বলেন, আমরা কৃষকদের জৈব পদ্ধতিতে চাষবাস করার জন্য বোঝাই। কিন্তু কৃষকরা অধিক ফসলের লোভে বাজার চলতি সার, কীটনাশক ব্যবহার করছেন। যখন কৃষকরা বড় কোনও সমস্যার মুখে পড়েন তখন তাঁরা কৃষিদপ্তরমুখী হন। তাঁরা সার ব্যবসায়ীদের পরামর্শেই চাষ করছেন। এজন্য কিছু সার ব্যবসায়ী কৃষকদের নানারকম টোপ দেন। ব্লক কৃষিদপ্তর থেকে প্রতিনিয়ত প্রচারে যাওয়া হয়। উন্নত আধুনিক পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করে কম খরচে জমিতে ফসল ফলানো যেতে পারে। কৃষকদের অভাব অভিযোগের জন্য সরকার টোল ফ্রি নম্বর এবং ‘মাটির কথা’ নামে একটি মোবাইল অ্যাপ চালু করেছে। সেখান থেকে কৃষকেরা তাঁদের সমস্যা সরাসরি জানাতে পারবেন।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কৃষিদপ্তর কৃষকদের কম খরচে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষবাস করাতে উৎসাহিত করছেন। সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের আওতায় কৃষকদের এনে অধিক ফসল ফলানোর বিষয়ে উৎসাহিত করলেও কৃষকদের এতে উপস্থিতি খুবই কম। জেলার অধিকাংশ কৃষক মান্ধাতা পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করছেন। জেলার প্রতিটি ব্লকে দপ্তরের অফিস থাকলেও কৃষকদের সঙ্গে দপ্তরের কর্মীরা নিয়মিত যোগাযোগ করেন না বলে অভিযোগ উঠছে। বাধ্য হয়ে গ্রামাঞ্চলের কৃষকেরা সার ব্যবসায়ীদের দেওয়া পরামর্শেই ভরসা রাখছেন। রাসায়নিক সার ও কীটনাশক প্রয়োগের ফলে জমিতে ফসলের পরিমাণ বাড়ছে। তাই চাষিরা সেদিকেই ঝুঁকছেন। সেই সুযোগে একাংশ সার ব্যবসায়ী কৃষকদের রাসায়নিক সার ও কীটনাশক সরবরাহ করে অধিক মুনাফা ঘরে তুলছেন। মাত্রাতিরিক্ত রাসায়নিক ও কীটনাশক ব্যবহারের ফলে জমির ওপর এর কুপ্রভাব পড়ছে।