বদমেজাজ ও কঠিন ব্যবহারে ঘরে-বাইরে অশান্তি ও শত্রুতা। পেট ও বুকের সংক্রমণে দেহসুখের অভাব। কর্মে ... বিশদ
তিতলি: না, তবে এবার থেকে বকব।
সোমবার দুপুরে সেক্টর ফাইভের একটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের চার তলায় ঢুকতেই এরকম কিছু কথা কানে এল। এগতেই দেখা গেল প্রিন্সিপালের উল্টো দিকের চেয়ারে বসে অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। আসলে মৈনাক ভৌমিকের নতুন ছবি ‘মিনি’র শ্যুটিং চলছিল। ক্লাস থ্রি’র ছোট্ট মিনি স্কুলে দুষ্টুমি করেছে। ফলে তার গার্জেন কল হয়েছে। শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করতে এসেছে মিনির মাসি তিতলি অর্থাৎ মিমি। আর মিনি হল অয়ন্না চট্টোপাধ্যায়।
শটের দুটো টেক করতেই মনিটর থেকে পরিচালক বলে উঠলেন,‘পারফেক্ট। কাট!’ ততক্ষণে মিমি উঠে এসে পরিচালকের পাশে বসেছেন। মনিটরে সিনটা একবার দেখে নেওয়ার পরেই দু’জনে খুনসুটিতে মাতলেন। মিমির উদ্দেশে মৈনাক বললেন,‘ভালোই তো হচ্ছে।’ মিমির উত্তর, ‘যাক আমি নিশ্চিন্ত হলাম’।
এরপর কিছুক্ষণের বিরতি। লিফ্টে নীচে নেমে অভিনেত্রী সোজা মেকআপ ভ্যানে উঠে গেলেন। সেখানেই শুরু হল কথা। আর মাত্র কয়েকদিনের দিনের শ্যুটিং বাকি। তাই কোনওরকম খুঁত রাখতে চাইছেন না তিনি। বললেন, ‘মৈনাক আজকের প্রেক্ষাপটে একটা অন্যরকম গল্প শুনিয়েছিল। আমি আর বাচ্চাটাকে কেন্দ্র করেই গল্প। ফলে রাজি না হওয়ার কোনও কারণ ছিল না।’ ছবির প্রায় সিংহভাগ জুড়েই মিমি ও অয়ন্না। বাচ্চাদের সঙ্গে শ্যুটিং করার অভিজ্ঞতা কীরকম? ‘ও এতটাই পারফেক্ট যে, আমি নিজে চাপে পড়ে যাচ্ছি। নিজের তো বটেই, সঙ্গে আমার সংলাপগুলো পর্যন্ত ওর মুখস্থ!’ অগত্যা শুরু হল তার খোঁজ।
শ্যুটিং চলছে। এদিকে নীচে ক্যান্টিনে মায়ের সঙ্গে বসে রয়েছে অয়ন্না। ছবি তোলা হবে। হেয়ার ড্রেসার পরিপাটি করে তার চুল বেঁধে দিচ্ছেন। মিমি দিদির সঙ্গে শ্যুটিং করতে কীরকম লাগছে তার? ‘খুব ভালো। দিদির সঙ্গে প্রচুর গল্প করি। কার কোনটা প্রিয় খাবার সেটা নিয়েও আমাদের কথা হয়,’ উত্তর এল অয়ন্নার।
পরের শটের জন্য তখন মিমি তৈরি হচ্ছেন। শহরে শীতের আমেজ। ডে লাইট কমে আসছে বলে ইউনিটকে তাগাদা দিচ্ছেন পরিচালক। কফিতে চুমুক দিতে দিতে বলছিলেন, ‘এই ছবিটা তৈরির পিছনে রবীন্দ্রনাথের কাবুলিওয়ালার অনুপ্রেরণা রয়েছে। ছবির নামও তাই মিনি। দু’জন অসম বয়সি মানুষের জার্নির কথা বলবে এই ছবি।’ আজকের সমাজে দাঁড়িয়ে একজন কেরিয়ার সচেতন স্বাধীনচেতা মহিলার জীবনে একটা বাচ্চার অনুপ্রবেশ ঘটলে কী কী চ্যালেঞ্জ তৈরি হয় সেই দিকটার উপরেই মূলত আলোকপাত করতে চাইছেন পরিচালক। পরবর্তী শট শুরু হবে। ততক্ষণে পরিচালকের সামনে এসে দাঁড়িয়েছেন মিমি। ওঁর দিকে ইঙ্গিত করেই মৈনাকের স্বীকারোক্তি, ‘আমার মনে হয় ওর অভিনয় গুণ নিয়ে খুব কম কথা বলা হয়। ছবিটা শ্যুট করতে করতে ওর সঙ্গে বাচ্চাটার একটা অসাধারণ কেমিস্ট্রির সাক্ষী থাকলাম।’ কিন্তু মিনির স্কুলে তার মাসি কেন? মিনির মা কোথায়? খুব একটা ভাঙতে চাইলেন না পরিচালক। ‘কোনও একটা সমস্যা তো রয়েইছে। সেটা না হয় দর্শক ছবিটা দেখে বুঝবেন,’ সংক্ষিপ্ত উত্তর তাঁর। স্মল টক আইডিয়াজ ও এমকে মিডিয়া প্রযোজিত ছবিটির রিলিজ ডেট এখনও চূড়ান্ত হয়নি।