মাঝেমধ্যে মানসিক উদ্বেগের জন্য শিক্ষায় অমনোযোগী হয়ে পড়বে। গবেষণায় আগ্রহ বাড়বে। কর্মপ্রার্থীদের নানা সুযোগ আসবে। ... বিশদ
কিন্তু স্টুডিও চত্বরে, পুকুর পাড়ে অন্য ‘সিন’। চুনির চিরকূট পেয়ে পুকুর পাড়ে অপেক্ষা করছে নির্ভীক। এমন সময় চুপি চুপি পিছন থেকে এসে বরের চোখ চেপে ধরে চুনি। ভূতে ধরেছে ভেবে ভয়ে হার্টফেল হয়ে যাওয়ার জোগাড় ভিতু নির্ভীকের। অনেক কষ্টে চোখ খুলে দেখে সামনে দাঁড়িয়ে তারই বিয়ে করা বউ। চুনি বলে ওঠে ‘হ্যাপি ভালেন্টাইনস ডে’। বিহ্বল নির্ভীক তাকিয়ে থাকে চুনির দিকে। পাঞ্জাবির পকেট থেকে একটা ক্যাটবেরির প্যাকেট বের করে নির্ভীকও এগিয়ে দেয় চুনির দিকে। উপহারের দিয়ে তাকিয়েই জ্বলে ওঠে চুনি। কারণ, ক্যাটবেরিটা আধ খাওয়া। মারতে তাড়া করে বরকে।
শট শেষে খিলখিল করে হেসে ওঠেন অন্বেষা হাজরা। নির্ভীকের দেওয়া ক্যাটবেরিটা খেতে খেতে টেলিভিশনের চুনি বলেন, ‘এর সঙ্গে সিরিয়ালের কোনও সম্পর্ক নেই। ভ্যালেন্টাইন’স ডে উপলক্ষে স্টার জলসার ফেসবুক পেজের জন্য একটা স্পেশাল সিন তোলা হল। তা না হলে ওই ভিতুর ডিমের সঙ্গে প্রেম করতে আমার বয়েই গিয়েছে। আমার তো আসল ইন্টারেস্ট ভূত নিয়ে।’ আর অন্বেষার ভ্যালেন্টাইনস সেলিব্রেশন? ‘দূর... আমার তো কোনও বয়ফ্রেন্ডই নেই,’ ক্যাটবেরিটায় আর একটা কামড় বসিয়ে বলেন অন্বেষা। বলে তাঁর সংযোজন, ‘ভ্যালেন্টাইন’স ডে যে কোনও মানুষের সঙ্গে উদযাপন করা যায়। মা, বাবা, বন্ধু-বান্ধবী... আমার তো সবচেয়ে বড় ভ্যাসেন্টাইন গিফট হল চুনি-পান্নার সেট।’ ‘আমারও তাই মত’ চুনির পাশে দাঁড়িয়ে সমর্থন ‘নির্ভীক’ দিব্যজ্যোতি দত্তর। ঘটনাচক্রে তিনিও সিঙ্গল। প্রেমে পড়াটা দিব্যজ্যোতির কাছে ‘অ্যাক্সিডেন্ট’। অন্বেষার এ ব্যাপারে স্পষ্ট মত, ‘আমার জীবনসঙ্গীকে ভালো বন্ধু হতে হবে। কারণ, যে জীবনটা আমি কাটাইনি, সে জীবনটা আমাকে তাঁর সঙ্গে কাটাতে হবে।’ এর মধ্যে দিব্যজ্যোতি-অন্বেষার মধ্যে কোনও সম্পর্কের রসায়ন তৈরি হয়নি? একটুও না ভেবে দিব্যজোতির জবাব, ‘হয়েছে, বন্ধুত্ব। যার কোনও ব্যাখ্যা হয় না।’ মিষ্টি হেসে অকপট অন্বেষাও। বলে উঠলেন, ‘আমিও দিব্যজ্যোতিকে প্রচণ্ড বিশ্বাস করি।’