অংশীদারি ব্যবসায় পারস্পরিক বিরোধ ও ব্যবসায় মন্দা ভাব। বিপণন কর্মীদের লক্ষ্য পূরণে বাধার যোগ। মনে ... বিশদ
বায়ুর গুণমানের সূচক বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের (একিউআই) গড় নিরিখে আন্তর্জাতিক সংস্থার বিচারে খারাপের দিক দিয়ে ভারতের স্থান সারা বিশ্বে তৃতীয়, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের পরেই। জাতীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তত্ত্বাবধানে বায়ু দূষণ পরিমাপের মাত্রা নির্ধারণের যে প্রক্রিয়া দেশের শহরগুলিতে সবসময় চলে তাতে প্রথম স্থানে আছে দেশের রাজধানী দিল্লি। পাল্লা দিচ্ছে কলকাতাও। বিশ্বের প্রথম ১০টি দূষিত শহরের মধ্যে আছে কলকাতাও!
একিইউ এর মাত্রার ৬টি মাপকাঠি বেঁধে দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিকভাবে। মাত্রা ২০০-৩০০ মধ্যে থাকলে তা খারাপ বলে চিহ্নিত। ৩০১-৪০০ হলে তা খুব খারাপ, ৪০১ থেকে ৫০০ হলে তীব্র খারাপ। ১২-১৪ জানুয়ারি বায়ু দূষণের মাত্রার হিসেবে দেখা যাচ্ছে দিল্লি, কলকাতা সহ দেশের বেশ কিছু শহরে তা খারাপ অর্থাৎ ২০০-র বেশি মাত্রার উপরে রয়েছে। ১৪ জানুয়ারি কলকাতায় গড় একিউআই ছিল ২৩২। দিল্লিতে ২৭৫। এই পরিস্থিতিতে একজন সুস্থ মানুষও বেশি সময় বাইরে থাকলে অস্বস্তি অনুভব করবেন। শুধু কলকাতা নয়, এরাজ্যের হাওড়া, দুর্গাপুর, হলদিয়া, বারাকপুর, আসানসোল প্রভৃতি শহরের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক। সব জায়গাতে একিইউ মাত্রা ২০০ বেশি থাকছে শীতকালে। হাওড়া, বারাকপুর, হলদিয়াতে তো ১৪ জানুয়ারি মাত্রা ৩০০ ছাড়িয়েছিল। শীতকালে দূষণের মাত্রা অনেক বেড়ে যায়। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ১৫ জানুয়ারি রাত ১০টা নাগাদ হাওড়ার পদ্মপুকুর এলাকায় দূষণের মাত্রা ছিল সাড়ে তিনশোর বেশি। কলকাতার বালিগঞ্জ এলাকায় দূষণের মাত্রা ছিল ২৬৩, যাদবপুরে ২১৭, ফোর্ট উইলিয়ামে ২৩৫।
বাতাসে ভাসমান দূষিত কণা (পিএম), সালফার ও নাইট্রোজেন অক্সাইড, কার্বন ডাই অক্সাইড প্রভৃতির মাত্রা স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের সাহায্যে পরিমাপ করে একিউআই নির্ধারণ করা হয়। সবথেকে বেশি জোর দেওয়া হয় বাতাসে ভাসমান ক্ষুদ্র ও অতিক্ষুদ্র কণার উপর। গরম ও বর্ষাকালে দূষণ কম থাকে। সেই সময় কলকাতায় দূষণের মাত্রা ১০০ বা তার নীচে চলে আসে। পুজোর পর থেকে দূষণ বাড়তে শুরু করে। যা চরমে ওঠে ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে। এই দূষণ নিয়ন্ত্রণে এখন থেকেই সাবধান না হলে বিপদ।