অংশীদারি ব্যবসায় পারস্পরিক বিরোধ ও ব্যবসায় মন্দা ভাব। বিপণন কর্মীদের লক্ষ্য পূরণে বাধার যোগ। মনে ... বিশদ
রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার প্রায় ১৪ মাস পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী। বুধবার রাতে ঘরে ফিরেছেন তিনি। সেই খবরে খুশির ছবি ধরা পড়েছে অনুগামীদের মধ্যে। এদিন রাতেই জ্যোতিপ্রিয়কে দেখতে তাঁর সল্টলেকের বি সি ব্লকের বাড়িতে হাজির হন হাবড়ার নেতারা। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে সবার সঙ্গে দেখা করতে পারেননি বালু। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নেতানেত্রীদের ভিড় লেগেছিল বালুর বাড়িতে। সাংসদ, বিধায়ক, কাউন্সিলাররা এসেছিলেন। বিধাননগর, বরানগর, বারাকপুর, বারাসত, হাবড়া, অশোকনগর, গোবরডাঙা, গাইঘাটার অনেক নেতানেত্রীকে দেখা গিয়েছে সেখানে। রেশন ডিলারদের এক সংগঠনের নেতাও গিয়েছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বও ইতিমধ্যে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে খবর। এদিন যাঁরা বালুর বাড়িতে গিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন জেলবন্দি থাকার প্রভাব এখনও কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি। সম্পূর্ণ সুস্থ হতে তাঁর আরও কয়েকদিন সময় লাগবে।
আপাতত আদালতের অনুমতি ছাড়া কলকাতা ছাড়তে পারবেন না জ্যোতিপ্রিয়। তবে ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, চোখের চিকিৎসার জন্য তাঁকে হায়দরাহাদে যেতে হতে পারে। তার জন্য আদালতের অনুমতি নেবেন তিনি। আপাতত কিছুদিন নিজেকে সুস্থ করে তোলার দিকেই তিনি মন দেবেন। তারপর আইনি সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চাইছেন তিনি। শনিবার আদালতের কোনও নির্দেশের দিকেও তাঁর নজর রয়েছে। প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন হাবড়া সহ বিভিন্ন এলাকার রাজনীতির খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি। একাধিক নেতার নাম ধরে ধরে খোঁজ নিয়েছেন। সৌজন্য সাক্ষাতেই সবাইকে এলাকায় মানুষের পাশে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে, কয়েকদিন বাদেই রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড শুরু করে দেবেন তিনি। ফেব্রুয়ারি মাসে বিধানসভায় বাজেট অধিবেশন রয়েছে। সেই সময় বিধানসভায়ও তাঁকে দেখা যেতে পারে। তবে মন্ত্রী থাকাকালীন গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিধানসভায় জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বসার ঘরটি এখনও তালাবন্ধ হয়ে রয়েছে। আগামী দিনে সেই তালা খুলবে কি না, সেটাই এখন বিধানসভার অন্দরে অন্যতম চর্চার বিষয়। হাবড়ার বিধায়ক ছাড়াও মহাজাতি সদনের অছি পরিষদের চেয়ারম্যান, অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিগমের দায়িত্বে রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। এসব পদে কবে থেকে বালু সক্রিয় হন, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে রাজনৈতিক মহলেও।