অংশীদারি ব্যবসায় পারস্পরিক বিরোধ ও ব্যবসায় মন্দা ভাব। বিপণন কর্মীদের লক্ষ্য পূরণে বাধার যোগ। মনে ... বিশদ
মহকুমা শাসক বলেন, মন্দির কর্তৃপক্ষ বেশ কয়েকটি মন্দির এলাকায় নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগের কথা জানিয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়াও রাসমঞ্চ, জোড়বাংলো এবং জোড় শ্রেণির মন্দিরে রাতে আলোর ব্যবস্থা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ঐতিহাসিক মদনমোহন মন্দির সংলগ্ন ঐতিহাসিক কুয়োর সংস্কার ও সংরক্ষণ, পাটপুরের মন্দিরে যাওয়ার রাস্তা, জয়পুরের গোকুলচাঁদ মন্দির প্রাঙ্গণে সৌন্দর্যায়নের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুরে ঐতিহাসিক মন্দির থেকে ১০০মিটার দূরত্ব পর্যন্ত যে কোনও ধরনের নির্মাণকাজ বেআইনি। ওই নিষেধাজ্ঞা বহু বছর থেকে বলবৎ রয়েছে। ১০০মিটারের বেশি দূরত্বে মন্দির কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে নির্মাণকাজ করা যাবে। কিন্তু, বেশ কয়েকটি জায়গায় বেআইনি নির্মাণ হচ্ছে বলে মন্দির কর্তৃপক্ষ এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে অভিযোগ জানায়। মন্দির কর্তৃপক্ষ এব্যাপারে নোটিস ধরালেও কোনও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ তোলে। মহকুমা প্রশাসন বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেয়। এছাড়া রাসমঞ্চ ও জোড়বাংলো মন্দিরে সারারাত আলো জ্বালানোর বন্দোবস্ত থাকলেও পরবর্তীকালে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। সন্ধ্যা নামলেই তা অন্ধকারে ডুবছে। মন্দিরের গেট বন্ধ হয়ে গেলে অনেক সময় বাইরে থেকে আসা পর্যটকরা সন্ধ্যার পর গেটের বাইরে থেকেও মন্দির দর্শন করেন। কিন্তু, আলো না থাকায় তা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়াও শ্যামবাঁধ এলাকায় আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার অধীন একটি মন্দির রয়েছে। মন্দিরে যাওয়ার পর্যাপ্ত রাস্তা নেই। ঝোপঝাড় পেরিয়ে পর্যটকদের ঢুকতে হচ্ছে। এছাড়াও এদিনের বৈঠকে গোকুলচাঁদ মন্দিরে সৌন্দর্যায়নের প্রস্তাব দেওয়া হয়। বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম গোস্বামী বলেন, বেআইনি নির্মাণ আমরা বরদাস্ত করব না। এর আগে গুমগড় এলাকায় কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি বেআইনি লজ ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাই মন্দির কর্তৃপক্ষ নির্দিষ্ট অভিযোগ জানালে এক্ষেত্রেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার কলকাতা মণ্ডলের সুপারিন্টেন্ডেন্ট রাজেশ যাদব বলেন, বৈঠকে সদর্থক আলোচনা হয়েছে। বেআইনি নির্মাণের বিষয়ে প্রশাসনকে অবগত করানো হয়েছে। বেশ কিছু প্রস্তাবও পেয়েছি। সেগুলি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।