অংশীদারি ব্যবসায় পারস্পরিক বিরোধ ও ব্যবসায় মন্দা ভাব। বিপণন কর্মীদের লক্ষ্য পূরণে বাধার যোগ। মনে ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, দু’দিন আগে হিলি সীমান্তে এক বাংলাদেশি বৃহন্নলা গ্রেপ্তার হয়। তার নাম বিজলী মণ্ডল ওরফে আলি মণ্ডল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই পুলিস ওই চক্রের হদিশ পায়। গ্রেপ্তার করা হয়েছে দালাল কুশ বর্মনকে। তার বাড়ি হিলির ডুমরনে। একই এলাকা থেকে সাইবার ক্যাফের মালিক যুবক মিজানুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা রয়েছে। সেইসঙ্গে চক্রে যুক্ত টোটো চালক গৌতম মণ্ডলকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে সীমান্ত থেকে অনুপ্রবেশকারী বাংলাদেশিদের এনে গোপন ডেরায় আশ্রয় দিত। চক্র এখনও পর্যন্ত বহু বাংলাদেশিকে এপারে এনেছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। তাদের মাধ্যমে জঙ্গিরাও এদেশে ঢুকেছে কি না, তা পুলিস খতিয়ে দেখছে।
বালুরঘাট সদর ডিএসপি (হেডকোয়ার্টার) বিক্রম প্রসাদ বলেন, ১৪ জানুয়ারি এক বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই চক্রটির হদিশ মিলেছে। বাংলাদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এপারে আনার কাজে যুক্ত একজন, আরেকজন জাল আধার ও ভোটারকার্ড তৈরি এবং আরেকজন টোটো চালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কত জনকে তারা এপারে এনেছে, তা এখনই বলা সম্ভব নয়। ধৃতদের কম্পিউটার ও মেশিনপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিস সূত্রে খবর, হিলি সীমান্তের অনেক এলাকা এখনও কাঁটাতার বিহীন। সেগুলি মূলত অনুপ্রবেশের দরজা। দু’দেশেই দালাল চক্র রয়েছে। তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ করে বাংলাদেশিদের অনুপ্রবেশ করায়। কেউ এপারে থেকে যায়, আবার কেউ কাজ সেরে হিলি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এক একজন বাংলাদেশিকে অনুপ্রবেশ করিয়ে আশ্রয় দেওয়া থেকে শুরু করে হাতে জাল আধার ভোটার কার্ড ধরানো- এমন কাজে ৮০ হাজার থেকে কখনও কখনও এক লক্ষ টাকা নেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই বালুরঘাট ও কুমারগঞ্জ, হিলি, তপন ও গঙ্গারামপুরে একাধিক বাংলাদেশি গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের কাছেও জাল নথি পাওয়া গিয়েছে। অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে জঙ্গিরা লুকিয়ে নেই তো? এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে বাসিন্দাদের মধ্যে। - নিজস্ব চিত্র।