অংশীদারি ব্যবসায় পারস্পরিক বিরোধ ও ব্যবসায় মন্দা ভাব। বিপণন কর্মীদের লক্ষ্য পূরণে বাধার যোগ। মনে ... বিশদ
চেয়ারম্যান কার্যত স্বীকার করে নেন, অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউজিসির আর ভূমিকা নেই। পিএম ঊষা প্রকল্পের অধীনেই অনুদান মিলবে। তার জন্য গবেষণা পরিকল্পনা বা প্রযুক্তি ও পরিকাঠামোগত উন্নয়ন সংক্রান্ত প্ল্যান নিয়ে আবেদন জানাতে হবে। তার ভিত্তিতেই অনুদান ছিনিয়ে নেবে যোগ্য প্রতিষ্ঠান। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে উন্নত করতে চায় শিক্ষামন্ত্রক। তার জন্য কী উপায়? শিক্ষাবিদ ছাড়াও শিল্পকর্তা, সরকারি প্রশাসনের পদস্থ কর্তা, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্তাদের উপাচার্যের আসনে বসানো হবে। তাতে কী লাভ হবে? জগদেশ কুমারের দাবি, এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উদ্ভাবনচর্চা, ব্যবসায়িক এবং শিল্প উদ্যোগ গঠনের উৎসাহ বাড়বে। কারণ, বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে বিশেষজ্ঞরা আসবেন। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি মনে করিয়ে দেন, দিল্লির জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্যও শিক্ষাবিদ ছিলেন না। তাতে কোনও সমস্যা হয়নি। অন্যান্য সরকারি চাকরির মতো কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তত আট ঘণ্টা ক্যাম্পাসে থাকাও খুবই প্রয়োজনীয় বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, শিক্ষকরা সাধারণত এর চেয়ে বেশি সময়ই ক্যাম্পাসে থাকেন।
উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে রাজ্যপাল তথা আচার্যের সর্বোচ্চ ভূমিকার কথা নয়া খসড়ায় রেখেছে ইউজিসি। আপত্তি থাকলেও শিক্ষামন্ত্রকের এই নির্দেশ রাজ্য এবং তাদের অধীন বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে মেনে নিতে হবে বলে জানান তিনি। এই বিষয়ে বিরোধী রাজ্যগুলির সঙ্গে ঐকমত্যে এসে একসঙ্গে কাজ করা যাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন জগদেশ কুমার। তিনি মনে করিয়ে দেন, এই ব্যবস্থা নতুন নয়। ২০১০ সালেও উপাচার্য নিয়োগের যে বিধি ছিল, এবার অনুসরণ করা হয়েছে সেটাই, বিরাট কোনও বদল এতে হয়নি। প্রসঙ্গত, এরাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীকেই আচার্য হিসেবে নিয়োগের বিল এবং উপাচার্য নিয়োগের সার্চ কমিটিতে রাজ্য সরকার এবং উচ্চশিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি রাখার বিল রাজ্যপালের কাছে বহুদিন ধরেই পড়ে রয়েছে। ফলে, এ নিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যানের সঙ্গে রাজ্য যে একমত হবে না, তা বলাই যায়।