অংশীদারি ব্যবসায় পারস্পরিক বিরোধ ও ব্যবসায় মন্দা ভাব। বিপণন কর্মীদের লক্ষ্য পূরণে বাধার যোগ। মনে ... বিশদ
স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামল রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। সমরনগরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে ভাড়া বাড়ি থেকেই তিনজনেরই দেহ পাওয়া যায়। বিছানায় গলা কাটা অবস্থায় পাওয়া যায় শ্যামলের স্ত্রী ও ছেলের দেহ। একই ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় শ্যামলের দেহ উদ্ধার হয়। ভক্তিনগর থানার পুলিস এসে তিনটি দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। বাড়ির সামনে ভিড় করেন প্রতিবেশীরা। শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিসের আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করেন। এদিকে, স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বাজারে শ্যামলের কয়েক লক্ষ টাকার ঋণ ছিল। সেই ঋণ পরিশোধ করা নিয়ে কিছুদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন।
ডিসিপি (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, তিনটি দেহই ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে ওই ব্যক্তি ঋণে জর্জরিত ছিলেন। আমরা সবদিক খতিয়ে দেখছি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি।
গ্রামবাসীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্যামল রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চলাতেন। তবে নদী থেকে বালি, পাথর তোলায় নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাঁর কাজ কমে গিয়েছিল। দু’বছর আগে একটি কোম্পানি থেকে ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণ শোধ করতে ফের একের পরএক জায়গা থেকে ঋণ নেন। বাড়িতে অভাব ও ঋণের টাকা শোধ করতে শ্যামলের স্ত্রী বাসাবাড়ি পরিচারিকার কাজ শুরু করেন। তবুও সংসারে অভাব ছিলই। এদিকে, ঋণের টাকা না মেটাতে পারায় এজেন্টরা ঘনঘন বাড়িতে আসা শুরু করেন। এতে মানসিকভাবে মুষড়ে পড়েছিল ওই দম্পতি।
বুধবার রাতে সকলেই খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। অন্যদিন সকাল সকাল ওঠে গেলেও এদিন দরজা না খোলায় সন্দেহ হয় বাড়ির মালকিন পূর্ণিমা কর্মকারের। অনেক ডাকাডাকির পর সাড়াশব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের ডেকে দরজা ভাঙতেই বিছানায় টুম্পা ও পিন্টুর গলা কাটা দেহ উদ্ধার হয়। ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় শ্যামলকে। টুম্পার মামা মজেন রায় বলেন, ঋণে জর্জরিত হয়ে ভাগনি ও ভাগনি জমাই দুশ্চিন্তায় ছিলেন। কিন্তু এমন পথ বেছে নেবে, এটা কল্পনাও করতে পারছি না। - নিজস্ব চিত্র।