অংশীদারি ব্যবসায় পারস্পরিক বিরোধ ও ব্যবসায় মন্দা ভাব। বিপণন কর্মীদের লক্ষ্য পূরণে বাধার যোগ। মনে ... বিশদ
ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ স্বপন মুখোপাধ্যায় বলেন, রকি আমাদের কলেজে পুষ্টিবিদ্যায় অনার্স নিয়ে পঞ্চম সেমেস্টারে পড়ছে। সুরজ পাশ কোর্সের তৃতীয় সেমেস্টারে পড়াশোনা করে। পঠনপাঠনের পাশাপাশি দু’জনে এনসিসি ও এনএসএসের সঙ্গে কলেজ জীবনের শুরু থেকেই যুক্ত রয়েছে। ওই দুই বিভাগের ভারপ্রাপ্ত অধ্যাপক সুরজিৎ মজুমদার ও হরিপদ হেমব্রমের তত্ত্বাবধানে অন্যান্যদের সঙ্গে রকি ও সুরজ সারাবছর প্রশিক্ষণ নেয়। তারা দু’জনে এবারের সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণের জন্য ডাক পেয়েছে। ইতিমধ্যেই দু’জনে দিল্লি চলে গিয়েছে। ২৬ জানুয়ারির আগে ও পরে অন্যান্য কয়েকটি প্রথাগত অনুষ্ঠানেও দু’জনে অংশ নেবে।
স্বপনবাবু আরও বলেন, গতবারেও দুই বিভাগ থেকে আমাদের কলেজের দু’জন ছাত্র দিল্লির প্যারেডে অংশ নেওয়ার জন্য ডাক পেয়েছিল। ২০১৪ সাল থেকে এনএসএসে এনিয়ে মোট আট বার কলেজের ছাত্ররা ওই সুযোগ পেল। এনসিসি ও এনএসএসের সাফল্যের জন্য ন্যাকের মূল্যায়নে আমরা গতবার ‘বি প্লাস প্লাস’ গ্রেড পেয়েছি। গত ডিসেম্বরে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীতে আমাদের কলেজের ১০ জন ছাত্র চাকরি পেয়েছে।
পাত্রসায়রের বাসিন্দা রকি গরিব পরিবার থেকে উঠে এসেছেন। তাঁর বাবা মথুরা দলুই চাষবাস করেন। আর্থিক কষ্ট সত্ত্বেও মথুরাবাবু ছেলেকে বাঁকুড়া শহরের মেসে রেখে পড়াশোনা করাচ্ছেন। বাঁকুড়া-১ ব্লকের আন্দারথোল গ্রামের বাসিন্দা সুরজও আর্থিক প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে কলেজে পড়ছেন। তাঁর পরিবারের সদস্যরাও চাষবাস ও দিনমজুরি করে সংসার চালান। তিনি অবশ্য বাড়ি থেকে যাতায়াত করেই পড়াশোনা করেন। ওই দুই ছাত্র বলেন, আমাদের সিনিয়র দাদারা এনএসএস ও এনসিসি করে চাকরি পেয়েছেন। ভবিষ্যতে চাকরির ইন্টারভিউয়ে সাধারণতন্ত্র দিবসের প্যারেডে অংশ নেওয়ার অভিজ্ঞতা আমাদের অনেকটাই এগিয়ে রাখবে। তাছাড়া দিল্লির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে লাভ করা শংসাপত্রগুলিও অনেক কাজে লাগবে। এরাজ্যের পাশাপাশি অসমের গুয়াহাটিতে আয়োজিত শিবিরে নজর কাড়ার ফলেই আমরা পূর্ব ভারত থেকে সাধারণতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পেয়েছি।
(বাঁদিকে) সুরজ বাউরি। (ডানদিকে) রবি দোলুই। নিজস্ব চিত্র